মুরগির বিভিন্ন প্রকার রোগ ও চিকিৎসা
প্রতিটি মুরগির খামারির জন্য, মুরগির বিভিন্ন প্রকার রোগ ও চিকিৎসা বিষয়ে প্রাথমিক ধারণা থাকা উচিত। বাংলাদেশের মুরগির চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধির ফলে অনেকের মধ্যেই মুরগির খামারের বিষয়ে আগ্রহ দেখা দিয়েছে। তবে মুরগির বিভিন্ন প্রকার রোগ, একটি মুরগির খামারির জন্য বড় অন্তরায়।
এই পোষ্টে মূলত মুরগীর বিভিন্ন প্রকার রোগ ও চিকিৎসা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আসুন জেনে নিই একটি মুরগী, সাধারণত কি কি রোগে আক্রান্ত হতে পারে এবং এই সব রোগের জন্য একজন মুরগী পালনকারীকে কি কি বিষয় জানতে হবে।
ভূমিকা
বাংলাদেশে মুরগী বা পোল্ট্রি শিল্প একটি লাভজনক ক্রমবর্ধনশীল শিল্প। মুরগী পালনে সবথেকে বেশি বাধা হয়ে দাড়ায় মুরগীর বিভিন্ন প্রকার রোগ। এই রোগের কারনে মুরগী পালনে খামারিরা ভিষণভাবে ক্ষতিগ্রস্থের সম্মুখীন হয়। মুরগী পালনের আগে মুরগীর বিভিন্ন প্রকার রোগ ও চিকিৎসা সম্পর্কে জানা বেশি জরুরী।
তবে মুরগীর অনেক রোগ আছে যা ভাইরাসজনিত কারনে হয়ে থাকে, যার কোন নির্দিষ্ট চিকিৎসা নেই। তাই সেই সকল রোগ থেকে প্রতিরোধের জন্য মুরগীকে রোগ হওয়ার আগেই টিকা প্রদান করতে হবে। অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী মুরগীকে টিকা প্রদান করতে হবে। কারন মুরগীর রোগ হওয়ার পরে চিকিৎসা করানোর মনোভাব থাকলে মুরগীকে বাঁচাতে অনেক কষ্টসাধ্য হয়ে যাবে।
অর্থাৎ একমাত্র টিকা প্রদানই পারবে মুরগী সকল রোগ থেকে প্রতিরোধ করতে। মুরগীর রোগের ক্ষেত্রে চিকিৎসার থেকে প্রতিরোধ বেশি কার্যকর ভূমিকা পালন করে। তাই মুরগীর রোগ সম্পর্কে কৃষক বা খামারি ও মুরগী পালনে জড়িত সকল ব্যক্তিদের প্রাথমিক ধারনা থাকতে হবে। তাহলে মুরগী সুস্থ থাকবে এবং মুরগী থেকে অধিক আয় করা সম্ভব হবে।
মুরগির বিভিন্ন প্রকার রোগ
বাড়িতে বা খামারের পোষা মুরগীর বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হতে পারে। এখন আসুন এই রোগগুলি এবং তাদের প্রতিকার সম্পর্কে কিছু আলোচনা করা যাক।
একটি মুরগীর সাধারণত যে সকল রোগগুলি দেখা যায় তা হল-
- রানীক্ষেত
- এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা বা বার্ড ফ্লু রোগ
- এভিয়ান পক্স বা বসন্ত
- কলেরা
- রক্ত আমাশয়
মুরগির রানীক্ষেত রোগ
মুরগির রোগ হিসেবে রানীক্ষেত অনেক ভয়াবহ জটিল একটি রোগ। এই রোগটি ছোঁয়াচে ভাইরাস জনিত রোগ। সব বয়সী মুরগী, এই রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে। প্রথমে মুরগীর রানীক্ষেত রোগটি দেখা যায় ইংল্যান্ডের নিউক্যাসেল নামক জায়গায় যার কারনে এই রোগটিকে ইংরেজীতে ‘Newcastle Disease’ রোগ নামে পরিচিত।
প্রায় প্রতিটি খামারেই এই রোগটি দেখা যায়। রানীক্ষেত হচ্ছে ভারতের একটি স্থানের নাম । যার কারনে উপমহাদেশের প্রথম ঐ স্থানে এই রোগটি পরিলক্ষিত হওয়ার জন্য এই রোগটিকে রানীক্ষেত রোগও বলা হয়ে থাকে। আমাদের দেশে প্রায় সারা বছরেই এই রোগটি দেখা যায়। শীত ও বসন্তকালে এই রোগটি মারাত্মক আকার ধারন করে।
মুরগির রানীক্ষেত রোগের জীবাণুর নাম
রানীক্ষেত রোগ একটি ভাইরাস জনিত রোগ। ভাইরাস এর নাম হল- Newcastle Disease Virus
রানীক্ষেত রোগের লক্ষণ
- রানীক্ষেত রোগের কারনে মুরগী অস্থির অবস্থায় পেছনের দিকে হেলে পড়ে অথবা মুরগী ডানা ঝুলে পড়ে।
- হাঁচি, কাঁশি, শ্বাসকষ্ট এ রোগের প্রথম লক্ষণ।
- শ্বাসতন্ত্র ও স্নায়ুতন্ত্র মিলনস্থল অবশ হয়ে হয়ে যায়, যার ফলে প্যারালাইসিস ও খাবার গ্রহণের পরিমাণ কমে যায়।
- পায়খানা পাতলা হয়ে যায়, যা দেখতে অনেকটা সাদা চুনের মত।
- হঠাৎ খাবার খাওয়া বন্ধ করে দিয়ে আড়ালে গিয়ে একদিকে মাথা বাকিয়ে রাখে অথবা ডানার ভিতরে মাথা ঢুকিয়ে রাখে।
- আস্তে আস্তে শরীরের উৎপাদন ক্ষমতা হারাতে থাকে।
মুরগির রানীক্ষেত রোগের চিকিৎসা
- রানীক্ষেত রোগের জন্য নির্দিষ্ট কোন চিকিৎসা নেই। তবে রোগ দেখা দিলে মুরগীকে লাসোটা ভ্যাকসিন পানির সাথে মিশিয়ে খাওয়ালে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়।
- রানীক্ষেত রোগ সংক্রমন রোধে এন্টিবায়োটিক খাওয়ানো যেতে পারে।
- অসুস্থ মোরগীকে আলাদা স্থানে সরিয়ে নিতে হবে এবং ঘরটিকে জীবণুনাশক ওষুধ দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে।
- চুনের মত পাতলা পায়খানা করা শুরু করলে মুরগীর ঘরে যথা সম্ভব ইলেক্ট্রোলাইট এর ব্যবস্থা করতে হবে।
- মুরগীকে পানি খাওয়ানোর সময় দ্রবনীয় ভিটামিন খাওয়াতে হবে যার ফলে মুরগীর শরীরে ভিটামিনের অভাব পূর্ণ হবে।
- মুরগীর ঘরের চারিদিকে টিমসেন জাতীয় তরল পদার্থ ছিটিয়ে দিতে হবে।
রানীক্ষেত ভ্যাকসিনের নাম
রানীক্ষেত রোগের ভ্যাকসিনের নাম হল Newcastle Lasota vaccine.
রানীক্ষেত রোগে প্রতিরোধ ব্যবস্থা
এই রোগটি বাতাসের সাথে ছড়ায় তাই অতি দ্রæত আক্রান্ত মুরগীগুলোকে আলাদা জায়গায় স্থানান্তর করতে হবে। মৃত মুরগীগুলোকে মাটিতে পুঁতে অথবা পুড়িয়ে ফেলতে হবে। জীনাণুনাশক দিয়ে খামার ও জিনিসপত্র ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিতে হবে। মুরগীর খামার থেকে সব মুরগী স্থানান্তর করার পর ২১ দিন অপেক্ষা করে আবার নতুন মুরগী আনতে হবে।
এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা বা বার্ড ফ্ল রোগ
এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা বা বার্ড ফ্ল রোগ একটি মারাত্মক সংক্রমক ভাইরাস জনিত রোগ। ইনফ্লুয়েঞ্জা নামক ভাইরাসের সংক্রমনের কারনে এর রোগ দেখা দেয়। ১৮৭৮ সালে সর্বপ্রথম এই ভাইরাসের সাথে পরিচিত হয়। এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা বা বার্ড ফ্লু এর চারটি সাব টাইপ হল H5N1, H7N3, H7N7, H9N21।
এদের মধ্যে H5N1 ভাইরাসটি মূলত এই রোগটি হওয়ার জন্য বেশি দোষী। খুব কম সময়ে এক মুরগী থেকে অন্য মুরগীকে আক্রান্ত করে ফেলে। মুরগীর লালা ও মলের মাধ্যম দিয়ে তাড়াড়াড়ি এই রোগটি ছড়ায়। আক্রান্ত মুরগী কয়েক ঘন্টার মধ্যেই মারা যায়।
লক্ষণ
- সর্বপ্রথম মুরগীর জ্বর হয়ে থাকে।
- মুরগীর গা ব্যাথা, সর্দি-ঠান্ডা লাগা, হাঁচি কাশি, পেট খারাপ, বমি ইত্যাদি উপসর্গ দেখা দেয়।
- মুরগীর দেহের সকল পালকগুলো উসকো খুসকো দেখা যায়।
- খাবার খেতে অনিচ্ছা দেখায় যার ফলে ক্রমে ক্রমে মুরগী দুর্বল হয়ে পড়ে এবং ডিম দেওয়ার পরিমাণ আস্তে আস্তে কমে যায়।
- মুরগীর মাথার ঝুটিতে পানি জমে এবং পাতলা পায়খানা বা ডাইরিয়া হয়ে থাকে।
চিকিৎসা
- চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী মুরগীকে অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ যেমন ওসেলটামিভির বা জানামিভির উপসর্গের পরিমান ও সময়কাল কমাতে খাওয়ানো যেতে পারে। এই ওষুধগুলো ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসকে বাধা সৃষ্টি করে থাকে।
- সকল প্রকার পোল্ট্রির টিকা প্রদান করতে হবে।
- বার্ড ফ্লু রোগে আক্রান্ত মুরগী মারা গেলে অতি দ্রুত পুড়িয়ে অথবা মাটিতে পুতে ফেলতে হবে।
প্রতিরোধ
বার্ড ফ্লু রোগের প্রতিরোধের পদ্ধতি হল একই জাত ও একই বয়সের মুরগি এক সাথে একই জায়গায় পালন না করে বিভিন্ন জাত ও বিভিন্ন বয়সের মুরগী আলাদা ও খোলামেলা পরিবেশে পালন করতে হবে। আক্রান্ত মুরগীগুলোকে খালি হাতে না ধরে দস্তানা এর মাধ্যমে ধরতে হবে। খামারের ভিতরে আলো বাতাসের পর্যাপ্ত পরিমানের ব্যবস্থা করতে হবে।
সকল মুরগীকে ভ্যাকসিনের আওতায় নিয়ে আনতে হবে। আক্রান্ত মুরগীকে ছোঁয়ার পর ভালভাবে সাবান দিয়ে হাত পরিষ্কার করতে হবে। বার্ড ফ্লুতে মুরগী মারা গেলে অতি তাড়াতাড়ি মাটিতে পুঁতে ফেলতে হবে।
এভিয়ান পক্স বা বসন্ত
মুরগীর এভিয়ান পক্স বা বসন্ত রোগ অত্যন্ত মারাত্মক একটি রোগ। অনেক খামারি জানে না যে এই রোগটি দেখা দিলে কি কি করতে হবে। এই রোগটি মূলত ভাইরাসের কারনে হয়ে থাকে। সকল বয়সের মুরগীর এই রোগটি দেখা যায়। এই রোগের কিছু লক্ষন দেখা দিলে বুঝে নিতে হবে মুরগীর এভিয়ান পক্স বা বসন্ত রোগ হয়েছে।
লক্ষণ
- আক্রান্তমুরগীর শরীরে জ¦র দেখা দিবে ছোট ছোট বাচ্চাগুলো ঠিক মত খাবার গ্রহন করবেনা। আস্তে আস্তে মুরগী দুর্বল হয়ে
- যাবে এবং অবশেষে মৃত্যুর কোলে কবলিত হবে।
- অন্যান্য মুরগীদের থেকে আলাদা হয়ে এক কোনায় ঝিম মেরে বসে থাকবে এবং ঝিমাবে।
- নাকের চারিদিকে এবং ঠোঁটের রং আস্তে আস্তেপরিবর্তন হতে থাকবে।
- বসন্ত রোগে আক্রান্ত হওয়ার কারনে মুরগী একটু পর পর পা দিয়ে নাক বা চোখের আশেপাশে চুলকাবে।
চিকিৎসা
- মুরগীর জ্বর হওয়ার কারনে মুরগীকে এসিটামিনোফেন বা আইবুপ্লোফেন ওষুধ খাওয়ানো যেতে পারে যার ফলে জ¦র কমতে সাহায্য করবে।
- মুরগীকে এন্টিবায়টিক সহ ভিটামিন সি এবং ভিটামিন ডি খাওয়াতে হবে।
- দিনে দুই অথবা তিনবার পটাশ বা জীবাণু নাশক ওষুধ তুলার সাথে ভাল ভাবে লাগিয়ে আক্রান্ত স্থানটি ভালো ভাবে মুছে রাখতে হবে যদি আক্রান্ত মুরগীর সংখ্যা কম হয় তাহলে।
প্রতিরোধ
মুরগীর থাকার ঘরে পর্যাপ্ত পরিমান আলো বাতাসের চলাচলের ব্যবস্থা থাকতে হবে। শীতে ঘর গরম রাখার জন্য তাপের ব্যবস্থা করতে হবে। বসন্ত রোগের টিকা সময়মত দিতে হবে যার ফলে এই রোগ হওয়ার সম্ভবনা কম থাকে।
মুরগির কলেরা
মুরগীর কলেরা রোগকে ফাউল কলেরা রোগ নামেরও পরিচিত। এটি মূলত ব্যাকটেরিয়া থেকে উৎপন্ন মারাত্মক একটি রোগ। প্যাস্টুরেলা মাল্টোসিডা নামক ব্যাকটেরিয়ার মাধ্যমে সৃষ্টি হয়ে থাকে এই রোগটি। প্রচন্ড গরমে এই রোগটি বেশি দেখা যায় এবং দুই থেকে চার মাস বয়সি মুরগীকে এই রোগ বেশি আক্রান্ত করে থাকে।
লক্ষণ
- কলেরা রোগের কারনে মুরগী সারাদিন এক জায়গায় বসে থাকে এবং ঝিমাই।
- মুরগীর মাথার জুটি ও কানের লতি নীল আকার ধারন করে।
- স্বাভাবিক হারে ডিম পাড়া কমে যায় এবং এক সময় ডিম পাড়া বন্ধ করে দেয়।
- স্বাভাবিক পায়খানা হয়না, তবে পায়খানা হলে তা সবুজ হলুদ বর্ণের দেখা যায়।
চিকিৎসা
- কলেরা একটি ব্যাকটেরিয়া জনিত রোগ। যার কারনে অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ খাওয়াতে হবে যেমন সিপ্রোফ্লক্সাসিন, জেন্টামাইসিন খাওয়ানো যেতে পারে।
- পায়খানা হলে সালফার গ্রæপের ওষুধ খাওয়াতে হবে।
- আক্রান্ত মুরগীগুলোকে অন্য স্থানে স্থানান্তর করতে হবে।
- কলেরা রোগের ভ্যাকসিন প্রদান করতে হবে।
প্রতিরোধ
মুরগীর ঘরে পর্যাপ্ত পরিমান আলো ব্যবস্থা রাখতে হবে। আলোর ব্যবস্থা থাকলে মুরগীকে কলেরা রোগ থেকে অনেক দূরে রাখা যায়। কলেরা রোগে আক্রান্ত মুরগী মারা গেলে সাথে সাথে সরিয়ে ফেলতে হবে এবং মাটিতে পুঁতে ফেলতে হবে। নিয়মিত কলেরা রোগের টিকা দিতে হবে। সর্বশেষ ভাল প্রতিরোধের জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
মুরগির রক্ত আমাশয়
মুরগীর সকল প্রকার রোগের মধ্যে রক্ত আমাশয় মারাত্মক একটি রোগ। আইমেরিয়া নামক পরিজীবি প্রোটোজোয়ার এর ফলে মুরগীর রক্ত আমাশয় দেখা যায়। সকল বয়সী মুরগীর এই রোগ হয় তবে বাচ্চা মুরগীর এই রোগটি বেশি হয়ে থাকে।
লক্ষণ
- মুরগীর রক্ত আমাশয় হওয়ার কারনে মলদ্বার দিয়ে তাজা রক্ত বের হয়।
- মুরগীর পালক শুষ্ক হয়ে যায়।
- খাবার খাওয়া কমে যাবে এবং এক জায়গায় দাঁড়িয়ে ঝিমাবে।
- মৃত্যুর আগে মুরগীগুলো লিটারে শুয়ে পড়বে এবং আনুমানিক চার থেকে পাঁচ ঘন্টা মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে আস্তে আস্তে মৃত্যুবরণ করে।
চিকিৎসা
- রক্ত আমাশয় হলে মুরগীকে এম্প্রোলিয়াম হাইড্রোক্লোরাইড, সালফার ড্রাগস ইত্যাদি দিতে হবে।
- প্রতি লিটার খাবার পানিতে ১ গ্রাম ইএসবি ৩ প্লাস মিশিয়ে ৩/৭ দিন মুরগীকে খাওয়াতে হবে।
- এন্টিপ্রোটোজয়ান গ্রæপের মধ্যে এম্প্রোলিয়াম ওষুধ অন্যতম। মুরগীর রক্ত আমাশয় হলে এই ওষুধ খাওয়ালো অনেক উপকার পাওয়া যায়।
প্রতিরোধ
মুরগীর লিটার সর্বদা শুকনো রাখার চেষ্টা করতে হবে। মুরগীর লিটার নিয়মিত ওলট পালট করে দিতে হবে এবং ভিজা লিটার সরিয়ে ফেলতে হবে। এক সাথে অল্প জায়গায় অধিক মুরগী পালন করা যাবে না এবং মুরগীর খাদ্য ও পানির পাত্র সব সময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। আক্রান্ত মুরগী মারা গেলে অতি দ্রæত মাটিতে পুতে ফেলতে হবে বা পুঁড়িয়ে ফেলতে হবে।
মন্তব্য
মুরগীপালনে লাভ করতে চাইলেই অবশ্যই একজন খামারিকে মুরগির বিভিন্ন প্রকার রোগ ও চিকিৎসা সম্পর্কে ভাল জ্ঞান রাখতে হবে। তা না হলে সময়মত সঠিক পদক্ষেপ গ্রহন এর অভাবে মুরগীপালনে ক্ষতির সম্মুখীন হবে। উপরোক্ত আলোচনায় একজন মুরগীপালনকারীর সকল প্রকার জ্ঞান আরোহন করতে পারবে।
ধন্যবাদ
সামরিন ইনফো।
সামরিন ইনফো এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url