কুরবানি (কুরবানী) কি । কুরবানী সম্পর্কে আলোচনা
ইসলাম ধর্মে কুরবানি (কুরবানী) হলো ঈদুল আজহা উপলক্ষে আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে পশু জবাই করার একটি ধর্মীয় রীতি। "কুরবানি (কুরবানী) কি । কুরবানী সম্পর্কে আলোচনা" পোষ্টে কুরবানী সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হল।
চলুন যেনে নেওয়া যাক কুরবানী সম্পর্কে বিস্তারিত।
ভূমিকা
কুরবানি (কুরবানী) হলো মুসলমানদের জন্য একটি ধর্মীয় উৎসব। ইসলামের বিধান অনুযায়ী কুরবানি (কুরবানী) হলো একটি পবিত্র উৎসর্গ যা আল্লাহর সন্তষ্টির জন্য প্রদান করা হয়। প্রতি বছর মুসলমানরা ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে পশু কুরবানি করে থাকে। আল্লাহর প্রতি মুসলমানদের অগাধ বিশ্বাস ও ভালবাসার আনুগত্যের প্রতীক হিসেবে পালন করে থাকে।
ঈদ-উল-আযহা যা কুরবানির ঈদ নামেও পরিচিত, মুসলিম উম্মাহর জন্য একটি মহান ধর্মীয় উৎসব। এটি ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের একটি যা হজ পালন করার সময়ও কুরবানি করা হয়। মুসলমানদের জন্য কুরবানি শুধু মাত্র একটি ধর্মীয় উৎসবই নয় এটি মুসলমানদের মধ্যে ত্যাগ, দান এবং সাম্যবাদের মূল্যবোধ জাগ্রত করে।
এই কুরবানির মধ্যে দিয়ে মুসলমানরা একে অপরের সঙ্গে সম্প্রীতি ও সহযোগিতার বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে থাকে।
কুরবানির অর্থ কি?
কুরবানি হলো মুসলমানদের একটি অতি আনন্দের উৎসব। ইসলামী পরিভাষায় কুরবানি হলো আল্লাহর সন্তষ্টি লাভের আশায় নির্দিষ্ট পশু যেমনঃ গরু, ছাগল, ভেড়া, দুম্বা, উট জবাই করা।কুরবানি শব্দটি আরবি কুরবান থেকে এসেছে।
কুরবান অর্থ হলো নৈকট্য, সান্নিধ্য আর আজহা অর্থ হলো ত্যাগ বা উৎসর্গ। এক কথায় বলা যায় যে, ত্যাগ বা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে আল্লাহর সান্নিধ্য লাভের আশাকেই ঈদুল আজহা বা কুরবানি বলে। হযরত ইব্রাহিম (আ.) আল্লাহর নির্দেশে তার তার পুত্র ইসমাইল (আ.) কে কুরবানি দিতে প্রস্তুত ছিলেন, কিন্তু আল্লাহর পক্ষ থেকে তাকে একটি ভেড়া দিয়ে পরিবর্তন করা হয়।
ঈদ-উল-আযহা বা কুরবানি ঈদে মুসলিমরা এই ত্যাগের প্রথা পালন করে।
ইব্রাহিম আঃ এর কোরবানির ইতিহাস
কুরবানি হলো সকল মুসলিমদের একটি পবিত্র ইবাদত। কুরবানির ইতিহাস খুবই প্রাচীন। হযরত আদম (আ.) যুগ থেকেই কুরবানির বিধান চলে আসছে। পৃথিবীর সর্বপ্রথম কুরবানি হযরত আদম (আ.) এর দুই ছেলে হাবিল ও কাবিলের কুরবানির পেশ করার কথা আমরা সকলেই মহাগ্রন্থ আল-কোরআন থেকে জানতে পারি।
ইসলামের ইতিহাসে হযরত ইব্রাহিম (আ.) এবং তার পুত্র ইসমাইল (আ.) এর কুরবানির ঘটনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন। যা আমাদের ইসলামী বিশ্বাস ও আনুগত্যের এক বিশেষ উদাহরণ। নিম্নে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা হল।
ইব্রাহিম (আ.) এর জীবনের পটভূমি
হযরত ইব্রাহিম (আ.) ছিলেন একজন নবী এবং এক ঈশ্বরবাদ আল্লাহর পক্ষে প্রচারকারী। তিনি আল্লাহর প্রতি গভীর বিশ্বাস ও আনুগত্যের কারনে পরিচিত। আল্লাহর নির্দেশে ইব্রাহিম (আ.) তার স্ত্রী হাজেরা (আ.) এবং তার পুত্র ইসমাইল (আ.) কে মক্কার মরুভূমিতে রেখে আসেন। যা ছিল ইব্রাহিম (আ.) এর জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষা।
স্বপ্নের মাধ্যমে আল্লাহর নির্দেশ
বায়তুল্লাহ নির্মাণ সম্পন্ন করে হযরত ইবরাহীম (আ.) সিরিয়ায় ফিরে যান এবং তারপর পুনরায় মক্কায় আগমন করেন। মক্কায় আগমনের কারণ ছিল তিনি স্বপ্নে দেখেছিলেন যে, আল্লাহ তা'আলা তার পুত্র ইসমাঈলকে কুরবানী করার জন্য তাঁকে নির্দেশ দিচ্ছেন। প্রথম দিকে তাঁর মনে কিছুটা দ্বিধাদ্বন্দ্ব ছিল।
কিন্তু উপর্যুপরি তিন রাত একই স্বপ্ন ও একই নির্দেশ পাওয়ার পর তিনি মক্কায় আগমন করেন এবং হযরত ইসমাইল (আ.) এর সাথে স্বপনের বিষয়ে নিয়ে আলোচনা করলেন।
পিতার আদেশ এবং পুত্রের সম্মতি গ্রহণ
ইব্রাহিম (আ.) তার পুত্র ইসমাইল (আ.) কে তিনি তার স্বপ্ন দেখার বিষয়টি সম্পর্ন রূপে জানালে তার পুত্র ইসমাইল (আ.) তা সাদরে সম্মতি জানান এবং বলেন যে পিতা আপনাকে আল্লাহ যা আদেশ করেছেন তা পালন করুন। ইনশাআল্লাহ আপনি আমাকে ধৈর্যশীলদের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত পাবেন। (সূরা আস-সাফফাত ৩৭:১০২)
কুরবানি প্রস্ততি
ইব্রাহিম (আ.) তিনি আল্লাহর আদেশ অনুযায়ী তার পুত্রকে সঙ্গে নিয়ে মক্কার মিনা প্রান্তরে যান। সেই স্থানে তিনি তার পুত্র ইসমাইল (আ.) এর চোখ বেঁধে শুইয়ে দেন যেন খুব সহজ ভাবেই কুরবানি করতে পারেন। ইসমাইল (আ.) আল্লাহর আদেশকে মেনে নিয়ে ধৈর্য সহকারে অপেক্ষা করতে থাকেন।
আল্লাহর পরীক্ষা ও বিকল্প ব্যবস্থা
ইব্রাহিম (আ.) যখন ইসমাইল (আ.) কে কুরবানির করার জন্য যাচ্ছিলেন, তখন আল্লাহ তার আনুগত্য দেখে সন্তষ্ট হন এবং ইসমাইল (আ.) এর পরিবর্তে একটি ভেড়া পাঠিয়ে দেন। তখন তিনি তার পুত্রের পরিবর্তে আল্লাহর নির্দেশে সেই ভেড়াটিকে কুরবানি করেন। এটিই ছিল ইব্রাহিম (আ.) এর প্রতি আল্লাহর অতুলনীয় আনুগত্য ও ভালবাসার প্রমাণ।
কুরআনে উল্লেখিত ঘটনা
কুরআন মাজিদে আস-সাফফাতে এই ঘটনার পূর্ণ বিবরণ দেওয়া রয়েছে-
যখন সে তার পিতার সাথে চলাফেরা করার বয়সে পৌঁছলেন তখন ইব্রাহিম (আ.) তাকে বললেন, আমি স্বপ্নে দেখেছি যে আমি তোমাকে কুরবানি করছি। এখন তুমিই বল তোমার কি মতামত? সে উত্তরে বলল পিতা আপনাকে যা আদেশ করা হয়েছে তা করে ফেলুন। ইনশাআল্লাহ, আপনি আমাকে ধৈর্যশীলদের অন্তর্ভুক্ত পাবেন। তখন তারা উভয়ে আল্লাহর আদেশ মেনে নিয়ে প্রস্তুত হল এবং ইব্রাহিম (আ.) তার পুত্রকে কাত করে শুইয়ে দিলেন। তখন আমি (আল্লাহ) তাকে (ইব্রাহিম) ডাক দিয়ে বললাম হে ইব্রাহিম তুমি স্বপ্নে যা দেখেছো তা তুমি অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছো। এভাবেই আমি তোমার সৎকর্মশীলদের পুরস্কৃত করি। নিশ্চয়ই এটা ছিল এক স্পষ্ট পরীক্ষা। আর আমি তার পরিবর্তে একটি মহান কুরবানির ব্যবস্থা করলাম। (সূরা আস-সাফফাত ৩৭:১০২-১০৭)।
ঈদ-উল-আযহা উদযাপন
মুসলিমদের জন্য ঈদ-উল-আযহা হচ্ছে দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব। এই দিনে সকল মুসলিমরা নির্দিষ্ট নিয়ম পালন করে কুরবানি করে থাকেন এবং সেই মাংস তিন ভাগে ভাগ করে এক ভাগ নিজের জন্য , একভাগ আত্নীয়-স্বজনদের জন্য এবং বাকি এক ভাগ দরিদ্র ও প্রয়োজনীয় লোকদের মাঝে বিতরণ করে দেন। এই প্রথা সামাজিক সমতা, দানশীলতা ও সহানুভূতির প্রতীক হিসেবে কাজ করে।
কুরবানি কার উপর ফরয
কুরবানি মুসলমানদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত, যা ঈদুল আজহা উপলক্ষে পালন করা হয়। কুরবানি অবশ্যই কিছু নির্দিষ্ট শর্ত পূরণের ওপর নির্ভর করে ফরয হয়। নিচে কুরবানি কার ওপর ফরয তা বিশদভাবে আলোচনা করা হলো:
- মুসলমান হওয়া- কুরবানি শুধু মুসলমানদের জন্য ফরয। কোনো অমুসলিম ব্যক্তির ওপর কুরবানির বিধান প্রযোজ্য নয়।
- বালেগ হওয়া- যে ব্যক্তি কুরবানি করবে, তার অবশ্যই প্রাপ্তবয়স্ক (বালেগ) হওয়া জরুরি। ইসলামিক বিধান অনুযায়ী, বালেগ হওয়ার মানে হলো, যিনি শারীরিক ও মানসিকভাবে প্রাপ্তবয়স্ক।
- আয়ত্তক্ষম হওয়া- কুরবানি সেই ব্যক্তির ওপর ফরয, যিনি আর্থিকভাবে সক্ষম। তার মালিকানায় নির্দিষ্ট পরিমাণ সম্পদ থাকা চাই, যা তার মৌলিক প্রয়োজন মেটানোর পর অবশিষ্ট থাকে। এই সম্পদের নির্দিষ্ট পরিমাণকে "নিসাব" বলা হয়। বর্তমানে নিসাবের পরিমাণ হলো:
- স্বর্ণের নিসাব- ৭.৫ তোলা (৯৩ গ্রাম)।
- রৌপ্যের নিসাব- ৫২.৫ তোলা (৬৪৫ গ্রাম)।
- অথবা নগদ টাকা, বাণিজ্যিক পণ্য ও অন্যান্য সম্পদের নিসাব- এই নিসাবের মূল্যের সমপরিমাণ অর্থ।
- আকলমান্দ হওয়া- কুরবানি সেই ব্যক্তির ওপর ফরয, যিনি মানসিকভাবে সুস্থ ও সচেতন। মানসিক অসুস্থ ব্যক্তি বা পাগলের ওপর কুরবানির ফরযিয়ত নেই।
- মুকিম হওয়া- কুরবানি সেই ব্যক্তির ওপর ফরয, যিনি মুকিম, অর্থাৎ তিনি নিজ বাসস্থানে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন। মুসাফির বা সফরে থাকা ব্যক্তির ওপর কুরবানি ফরয নয়।
- নির্দিষ্ট সময়ে পালন- কুরবানির জন্য নির্ধারিত সময় হলো ঈদুল আজহার প্রথম দিন থেকে শুরু করে পরবর্তী দুই দিন, অর্থাৎ ১০ জিলহজ থেকে ১২ জিলহজ পর্যন্ত মোট তিন দিন। এই সময়ের মধ্যে কুরবানি করতে হবে।
কুরবানির ফজিলত
কুরবানি ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত এবং এটি মহান আল্লাহর নৈকট্য লাভের একটি মাধ্যম। কুরবানির ফজিলত সম্পর্কে কুরআন ও হাদিসে উল্লেখিত বিভিন্ন দিক রয়েছে। নিচে কুরবানির ফজিলত বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলো:
- আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন
কুরবানি করার মাধ্যমে মুসলমানরা আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারেন। আল্লাহ তায়ালা বলেন, “তোমাদের কুরবানি করা পশুর গোশত ও রক্ত আল্লাহর কাছে পৌঁছে না; বরং তোমাদের তাকওয়া পৌঁছে যায়।” (সূরা হজ: ৩৭)
- নবী ইব্রাহিম (আঃ) ও ইসমাইল (আঃ) এর সুন্নত পালন
কুরবানি করার মাধ্যমে মুসলমানরা নবী ইব্রাহিম (আঃ) ও ইসমাইল (আঃ) এর ত্যাগের সুন্নত পালন করেন। এটি তাদের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন ও তাদের ত্যাগের মহত্বকে স্মরণ করানোর একটি উপায়।
- পাপমুক্তি ও নেকি অর্জন
কুরবানি করার মাধ্যমে মুসলমানরা তাদের পাপ মোচন করতে পারেন এবং অসংখ্য নেকি অর্জন করতে পারেন। হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, “কুরবানির দিনে মানুষের কোনো কাজ আল্লাহর কাছে পশু জবাই করার চেয়ে প্রিয় নয়। কিয়ামতের দিন কুরবানির পশু তার শিং, পশম ও খুরসহ উপস্থিত হবে এবং কুরবানির রক্ত জমিনে পড়ার আগেই আল্লাহর কাছে মকবুল হয়ে যায়।” (তিরমিজি)
- দারিদ্র বিমোচন ও সহানুভূতি
কুরবানির মাংস গরিব ও দুঃস্থদের মধ্যে বিতরণ করার মাধ্যমে সমাজের দরিদ্র জনগোষ্ঠী উপকৃত হয়। এটি দারিদ্র বিমোচনে সহায়ক এবং সমাজে সহানুভূতি ও সৌহার্দ্য বৃদ্ধি করে।
- পারিবারিক ও সামাজিক সম্পর্ক উন্নয়ন
কুরবানির মাধ্যমে পারিবারিক ও সামাজিক সম্পর্ক উন্নয়ন করা যায়। কুরবানির পশুর মাংস আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব এবং প্রতিবেশীদের মধ্যে বিতরণ করে সম্পর্কের মজবুতির সাথে সাথে সামাজিক বন্ধনও দৃঢ় হয়।
- আত্মশুদ্ধি ও ত্যাগের শিক্ষা
কুরবানি আত্মশুদ্ধির একটি মাধ্যম। এটি মুসলমানদের ত্যাগের শিক্ষা দেয় এবং আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য নিজেদের প্রিয় সম্পদ ত্যাগ করতে উদ্বুদ্ধ করে।
- আল্লাহর রাস্তায় সম্পদ ব্যয়
কুরবানির মাধ্যমে মুসলমানরা তাদের সম্পদ আল্লাহর রাস্তায় ব্যয় করতে পারেন, যা তাদের সম্পদের বরকত ও আখিরাতে উত্তম প্রতিদান লাভের মাধ্যম।
কোরবানির দোয়া
কোরবানি করার সময় নির্দিষ্ট কিছু দোয়া ও নিয়ত পাঠ করা হয়, যা কোরবানির প্রক্রিয়াকে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সহায়ক। নিচে কোরবানির দোয়া ও নিয়তের আরবি উচ্চারণ এবং বাংলা অর্থ দেওয়া হলো:
১. কোরবানির নিয়ত
কোরবানি করার পূর্বে নিয়ত করতে হয়। নিয়ত হচ্ছে কোরবানি করার ইচ্ছা প্রকাশ করা। নিয়তের আরবি উচ্চারণ ও বাংলা অর্থ হলো:
- উচ্চারণ
"বিসমিল্লাহি ওয়াল্লাহু আকবার, ইন্নী ওয়াজ্জাহ্তু ওয়াজহিয়্যা লিল্লাযী ফাতারাস সামাওয়াতি ওয়াল আরদা হানীফান মুসলিমাওঁ ওয়ামা আনা মিনাল মুশরিকীন। ইন্না সালাতী ওয়া নুসুকী ওয়া মাহইয়া ওয়া মামাতী লিল্লাহি রব্বিল আলামীনা, লা শরীক্বালাহূ, ওয়া বিযালিকুমিরতু ওয়া আনা মিনাল মুসলিমীন।"
- বাংলা অর্থ
"আল্লাহর নামে শুরু করছি, যিনি সর্বশক্তিমান। আমি আমার মুখমণ্ডল সেই সত্তার দিকে ফিরিয়ে দিলাম, যিনি আসমানসমূহ এবং জমিন সৃষ্টি করেছেন। আমি একনিষ্ঠ মুসলিম এবং আমি মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত নই। নিশ্চয়ই আমার নামাজ, আমার কোরবানি, আমার জীবন ও আমার মৃত্যু আল্লাহরই জন্য, যিনি সৃষ্টিজগতের রব। তার কোনো শরিক নেই এবং আমি এই নির্দেশই পেয়েছি এবং আমি মুসলিমদের অন্তর্ভুক্ত।"
২. কোরবানি করার সময় দোয়া
কোরবানির পশু জবাই করার সময় নিম্নলিখিত দোয়া পড়তে হয়:
- উচ্চারণ
"বিসমিল্লাহি, আল্লাহু আকবার"
- বাংলা অর্থ
"আল্লাহর নামে, আল্লাহ মহান।"
৩. কোরবানি পরবর্তী দোয়া
কোরবানি করার পর নিচের দোয়াটি পড়া যায়:
- উচ্চারণ
"আল্লাহুম্মা তাকাব্বাল মিন্নী কামা তাকাব্বালতা মিন ইবরাহিম খালিলিকা।"
- বাংলা অর্থ
"হে আল্লাহ, আমার পক্ষ থেকে তা কবুল করুন যেভাবে আপনি আপনার বন্ধু ইব্রাহিম (আঃ) এর কাছ থেকে তা কবুল করেছিলেন।"
মন্তব্য
কুরবানি ইসলামের একটি মহান ইবাদত, যা আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন, পাপমুক্তি, এবং নেকি অর্জনের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। এটি আমাদেরকে ত্যাগ, সহানুভূতি, এবং সমাজের দরিদ্রদের প্রতি সহানুভূতির শিক্ষা দেয়।
কুরবানির মাধ্যমে আমরা পারিবারিক ও সামাজিক সম্পর্ক উন্নয়ন করতে পারি এবং আল্লাহর নৈকট্য লাভ করতে পারি। কুরবানি আমাদের জীবনে নৈতিকতা, মূল্যবোধ এবং আত্মশুদ্ধির একটি গুরুত্বপূর্ণ উপায়।
"কুরবানি (কুরবানী) কি । কুরবানী সম্পর্কে আলোচনা" পোষ্ট সম্পর্কিত মন্তব্যের জন্য নিচের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করতে পারেন।
ধন্যবাদ
সামরিন ইনফো।
সামরিন ইনফো এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url