জুমার নামাজ, জুমার নামাজ পড়ার নিয়ম
জুমার নামাজ, বা শুক্রবারের নামাজ, মুসলমানদের জন্য বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। এটি প্রতি সপ্তাহের শুক্রবারে অনুষ্ঠিত হয় এবং এর বিশেষ কিছু নিয়ম ও ফজিলত রয়েছে। "জুমার নামাজ, জুমার নামাজ পড়ার নিয়ম" পোস্টে জুমার নামাজ সম্পর্কে বিস্তারিত বর্ণনা দেওয়া হয়েছে।
চলুন যেনে নেওয়া যাক জুমার নামাজ সম্পর্কে বিস্তারিত।
জুমার নামাজ
জুমার নামাজ হল ইসলাম ধর্মের একটি গুরুত্বপূর্ণ নামাজ, যা প্রতি সপ্তাহের শুক্রবারে অনুষ্ঠিত হয়। এটি মুসলিমদের জন্য বাধ্যতামূলক (ফরজ) এবং বিশেষভাবে পুরুষদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। জুমার নামাজের মাধ্যমে মুসলিম উম্মাহ একত্রিত হয়ে আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে এবং ইসলামের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করে।
- সময়-জুমার নামাজ জোহরের নামাজের সময়ে অনুষ্ঠিত হয়, অর্থাৎ মধ্যাহ্নের পর থেকে সূর্য ডোবার আগে পর্যন্ত।
- খুতবা-জুমার নামাজের আগে ইমাম দুটি খুতবা প্রদান করেন। প্রথম খুতবায় সাধারণত ইসলামের মৌলিক বিষয়গুলো আলোচনা করা হয়, আর দ্বিতীয় খুতবায় দোয়া ও উপদেশ দেয়া হয়।
- নামাজের রাকাত-জুমার নামাজ দুই রাকাত ফরজ নামাজ নিয়ে গঠিত। তবে এর আগে ও পরে সুন্নত নামাজ আদায় করা সুন্নত।
জুমার নামাজ ফরজ না ওয়াজিব
জুমার নামাজ মুসলমানদের জন্য ফরজ, অর্থাৎ বাধ্যতামূলক। এটি পুরুষদের জন্য একান্তভাবে পালনীয় একটি ইবাদত। নিচে কিছু বিস্তারিত তথ্য দেয়া হলো যা এর বাধ্যতামূলকতার বিষয়ে আলোকপাত করবে-
কুরআনের নির্দেশনা-
আল্লাহ তায়ালা কুরআনে স্পষ্টভাবে বলেছেন-
“হে মুমিনগণ, যখন জুমার দিনের নামাজের জন্য আহ্বান করা হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণের দিকে দ্রুত ধাবিত হও এবং ক্রয়-বিক্রয় পরিত্যাগ করো। এটা তোমাদের জন্য উত্তম, যদি তোমরা জানো।” (সূরা আল-জুমুআহ, ৬২:৯)
হাদিসের নির্দেশনা-
হাদিসেও জুমার নামাজের গুরুত্ব স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে-
নবী মুহাম্মদ (সাঃ) বলেছেন, "মানুষ যদি জুমা পরিত্যাগ করতে থাকে, তবে আল্লাহ তাদের হৃদয়ে মোহর মেরে দেবেন, তারপর তারা অবশ্যই গাফিলদের অন্তর্ভুক্ত হবে।" (মুসলিম)
এছাড়াও, বুখারী ও মুসলিমে বর্ণিত একটি হাদিসে বলা হয়েছে, "নিশ্চয়ই জুমার নামাজ প্রতিটি মুসলিমের উপর জামাতে আদায় করা ফরজ, কিন্তু চার ব্যক্তির ক্ষেত্রে তা ফরজ নয়: দাস, মহিলা, শিশু ও অসুস্থ ব্যক্তি।" (আবু দাউদ)
ইসলামী ফিকহ অনুযায়ী-
ইসলামী ফিকহের চারটি প্রধান মাযহাবের (হানাফি, মালিকি, শাফিঈ, হাম্বলি) অনুসারে, জুমার নামাজ পুরুষদের জন্য ফরজ-
- হানাফি- জুমার নামাজ ফরজ এবং এতে যোগদান করা প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্ক মুসলিম পুরুষের জন্য আবশ্যক।
- মালিকি, শাফিঈ ও হাম্বলি- এই মাযহাবগুলোতেও জুমার নামাজ ফরজ হিসেবে স্বীকৃত এবং জামাতে আদায় করতে বলা হয়েছে।
জুমার নামাজের বাধ্যতামূলক হওয়া সম্পর্কে কুরআন, হাদিস এবং ইসলামী ফিকহের ব্যাখ্যা স্পষ্টভাবে ইঙ্গিত দেয় যে এটি ফরজ। তাই প্রতিটি প্রাপ্তবয়স্ক মুসলিম পুরুষের জন্য এটি পালন করা একান্ত আবশ্যক।
জুমার নামাজ কেন গুরুত্বপূর্ণ
জুমার নামাজ মুসলমানদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। এটি শুধুমাত্র একটি নামাজ নয়, বরং একটি সামষ্টিক ইবাদত ও সামাজিক সমাবেশ যা মুসলিম উম্মাহকে একত্রিত করে এবং তাদের আধ্যাত্মিক ও সামাজিক জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। জুমার নামাজের গুরুত্বের কিছু দিক নিম্নে আলোচনা করা হলো:
ধর্মীয় দিক
আল্লাহর আদেশ: কুরআনে আল্লাহ তায়ালা স্পষ্টভাবে বলেছেন-
"হে মুমিনগণ, যখন জুমার দিনের নামাজের জন্য আহ্বান করা হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণের দিকে দ্রুত ধাবিত হও এবং ক্রয়-বিক্রয় পরিত্যাগ করো।" (সূরা আল-জুমুআহ, ৬২:৯)
রাসূল (সাঃ) এর নির্দেশ: হাদিসে নবী মুহাম্মদ (সাঃ) বলেছেন:
"মানুষ যদি জুমা পরিত্যাগ করতে থাকে, তবে আল্লাহ তাদের হৃদয়ে মোহর মেরে দেবেন, তারপর তারা অবশ্যই গাফিলদের অন্তর্ভুক্ত হবে।" (মুসলিম)
আধ্যাত্মিক দিক
- ফজিলতপূর্ণ ইবাদত- জুমার দিন বিশেষ ফজিলতপূর্ণ। এই দিনে করা ইবাদত ও দোয়া অধিক মর্যাদাপূর্ণ এবং আল্লাহর নিকট দ্রুত কবুল হয়।
- গুনাহ মাফ- নবী মুহাম্মদ (সাঃ) বলেছেন-
"যে ব্যক্তি জুমার দিন গোসল করে এবং সুন্দরভাবে প্রস্তুত হয়ে মসজিদে যায়, এবং ইমামের খুতবা মনোযোগ সহকারে শোনে, তার আগের সপ্তাহের গুনাহ মাফ হয়ে যায়।" (মুসলিম)
সামাজিক দিক
- সামাজিক একতা ও সংহতি- জুমার নামাজে মুসলমানরা একত্রিত হয়ে একে অপরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন, যা সামাজিক বন্ধনকে শক্তিশালী করে।
- শিক্ষা ও প্রচার- খুতবার মাধ্যমে ইসলামিক শিক্ষা ও নীতি মানুষের মাঝে প্রচারিত হয়, যা তাদের আধ্যাত্মিক ও সামাজিক জীবনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।
স্বাস্থ্য ও পরিচ্ছন্নতা
- পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা- জুমার দিন গোসল করা, পরিষ্কার পোশাক পরা এবং সুগন্ধি ব্যবহার করা সুন্নত, যা ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য ও পরিচ্ছন্নতার প্রতি গুরুত্বারোপ করে।
- আধ্যাত্মিক শুদ্ধি- নামাজ ও খুতবার মাধ্যমে মন ও মস্তিষ্ক পবিত্র হয়, যা মানসিক প্রশান্তি আনে।
দোয়া ও কবুলের সময়
জুমার দিন এমন একটি মুহূর্ত আছে, যখন আল্লাহ তায়ালার কাছে করা দোয়া কবুল হয়। নবী মুহাম্মদ (সাঃ) বলেছেন:
"জুমার দিনে এমন একটি সময় আছে, যখন একজন মুসলিম আল্লাহর কাছে যা কিছু প্রার্থনা করবে, তা তাকে দেওয়া হবে।" (বুখারি ও মুসলিম)
জুমার নামাজের এইসব দিকগুলো ইসলামী জীবনযাত্রার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে জুমার নামাজকে প্রতিষ্ঠিত করে। এটি শুধুমাত্র একটি নামাজ নয় বরং মুসলিমদের আধ্যাত্মিক উন্নতি, সামাজিক সংহতি এবং ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতার একটি মহৎ উদাহরণ।
জুমার নামাজ কয় রাকাত
জুমার ফরজ নামাজের আগে ৪ রাকাত সুন্নত
এটি "সুন্নত মুআক্কাদা"। এর অপর নাম "কাবলিল জুম্মা"। এটি আরবি শব্দ " কাবলা আল-জুমুআ থেকে উদ্ভূত, যার অর্থ "জুমার আগে"। এটি নিয়মিতভাবে পালন করা সুন্নত নামাজ, যা নবী মুহাম্মদ (সাঃ) আদায় করতেন এবং তাঁর উম্মতদেরও আদায় করতে উৎসাহিত করতেন।
খুতবার পরে ফরজ নামাজ
মার খুতবার পরে ২ রাকাত ফরজ নামাজ জামাতে আদায় করা হয়।
জুমার ফরজ নামাজের পরে ৪ রাকাত সুন্নত
এটিও "সুন্নত মুআক্কাদা"। একে "বাদাল জুম্মা" বলা হয়। "বাদাল জুম্মা" বা "বাদা আল-জুমুআ" শব্দটি সাধারণত বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত হয় এবং এর অর্থ "জুমার পর" বা "জুমার নামাজের পর"। এটি মূলত জুমার ফরজ নামাজের পরে আদায় করা সুন্নত নামাজকে বোঝায়।
নফল নামাজ
৪ রাকাত সুন্নত মুআক্কাদা, বাদাল জুম্মা নামাজের পরে ২ রাকাত নফল নামাজ আদায় করা যেতে পারে। এটি স্বেচ্ছায় আদায় করা হয় এবং এর মাধ্যমে অতিরিক্ত সওয়াব অর্জন করা যায়।
একনজরে জুমার নামাজ
৪ রাকাত সুন্নাতে মুআক্কাদা, কাবলিল জুম্মা
২ রাকাত ফরজ নামাজ
৪ রাকাত সুন্নাতে মুআক্কাদা, বাদাল জুম্মা
২ রাকাত নফল নামাজ
জুমার নামাজ পড়ার নিয়ম
জুমার নামাজ জোহরের নামাজের সময়ে অনুষ্ঠিত হয়, অর্থাৎ মধ্যাহ্নের পর থেকে সূর্য ডোবার আগে পর্যন্ত। জুমার ফরজ নামাজ জামাতে মসজিদে আদায় করতে হবে। নামাজের সম্পূর্ণ বিবরণ নিচে আলোচনা করা হল-
পূর্ব প্রস্তুতি
- জুমার দিন গোসল করা, পরিষ্কার পোশাক পরা এবং সুগন্ধি ব্যবহার করা সুন্নত।
আউস ইবনে আউস রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আল্লাহর রাসুল (সাঃ)-কে বলতে শুনেছি,"যে ব্যক্তি জুমার দিন গোসল করাবে এবং নিজেও গোসল করবে অথবা উত্তমরূপে গোসল করবে এরপর ওয়াক্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মসজিদে আসবে, আসার সময় হেঁটে আসবে, কোনো বাহনে চড়বে না, ইমামের কাছাকাছি বসবে, এরপর দুটি খুতবা মনোযোগ দিয়ে শুনবে এবং (খুতবার সময়) কোনো অনর্থক কাজকর্ম করবে না, সে মসজিদে আসার প্রতিটি পদক্ষেপে একবছর নফল রোজা ও একবছর নফল নামাজের সওয়াব পাবে।" (আবু দাউদ: ৩৪৫)
- মসজিদে, আযান দেওয়ার সাথে সাথে যাওয়াই উত্তম।
জুমার সময় মসজিদে যাওয়া প্রসঙ্গে রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন,"যখন জুমার দিন উপস্থিত হয় ফেরেশতারা মসজিদের দরজায় দাঁড়িয়ে প্রথম থেকে পর্যায়ক্রমে আগন্তুকদের নাম লিখতে থাকে। যে সবার আগে আসে সে ওই ব্যক্তির মতো যে একটি উট সদকা করে। তারপর যে আসে সে ওই ব্যক্তির মতো যে একটি গাভী সদকা করে। তারপর আগমনকারী মুরগি সদকাকারীর মতো। তারপর আগমনকারী একটি ডিম সদকাকারীর মতো। এরপর যখন ইমাম খুতবা দিতে বের হন, তখন ফেরেশতারা তাদের দফতর বন্ধ করে দেন এবং মনোযোগ দিয়ে খুতবা শুনতে থাকেন।" (বুখারি- ৮৮২)
জুমার নামাজ পড়ার নিয়ম
- জুমার নামাজের প্রথমেই ৪ রাকাত সুন্নাত নামাজ পড়তে হবে। এটি "সুন্নত মুআক্কাদা"। এর অপর নাম "কাবলিল জুম্মা"।
- এরপর খুতবা হবে। খুতবা পড়ার জন্য ইমাম মিমবারে আসেন। খুতবা দুই ভাগে বিভক্ত এবং এই দুই ভাগের মধ্যে ইমাম কিছুক্ষণ বসেন।
- খুতবার সময় সবাইকে মনোযোগ সহকারে শুনতে হয় এবং কোনো কথাবার্তা বলা নিষিদ্ধ।
- এরপর দুইরাকাত ফরজ নামাজ ঈমামের পিছনে কাতারে আদায় করতে হবে।
- ফরজ নামাজের পর ৪ রাকাত সুন্নাত নামাজ পড়তে হবে। এটি "সুন্নত মুআক্কাদা"। এর অপর নাম "বাদাল জুম্মা"।
- এরপর ২ রাকাত নফল নামাজ আদায় করা হয়। এটি স্বেচ্ছায় আদায় করা হয় এবং এর মাধ্যমে অতিরিক্ত সওয়াব অর্জন করা যায়।
জুমার নামাজের নিয়ত
কাবলাল জুমার নামাজের নিয়ত
উচ্চারণ- নাওয়াইতু আন উছাল্লিয়া লিল্লাহি তায়ালা আরবায়া রাকাআতি ছালাতি কাব্লাল জুমুয়াতি, সুন্নাতি রাসূলিল্লাহি তয়ালা মুতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল্ ক্বাবাতিশ্ শারীফাতি আল্লাহু আক্বার।
বাংলা অর্থ- আমি কেবলামুখী হয়ে আল্লাহ্র ওয়াস্তে চার রাকায়াত কাবলাল জুমার সুন্নতে মুয়াক্কাদা নামাজের নিয়ত করলাম। আল্লাহু আকবর।
জুমার দুই রাকাত ফরয নামাজের নিয়ত
উচ্চারণ- নাওয়াইতু আন্ উসকিতা আন্ জিম্মাতী ফারদুজ্জহ্রি, বি-আদায়ি রাকয়াতাই ছালাতিল্ জুমুয়াতি, ফারজুল্লাহি তায়ালা মুতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল্ ক্বাবাতিশ্ শারীফাতি আল্লাহু আক্বার।
বাংলা অর্থ- আমার উপর জুহরের ফরজ নামাজ আদায়ের যে দায়িত্ব রয়েছে, আমি কেবলামুখী হয়ে, জুম্মার দুই রাকায়াত ফরজ নামাজ আদায়ের মাধ্যমে তা পালনের নিয়ত করলাম। আল্লাহু আকবর।
বাদাল জুমার নামাজের নিয়ত
উচ্চারণ- নাওয়াইতু আন উছাল্লিয়া লিল্লাহি তায়ালা আরবায়া রাকাআতি ছালাতি বাদাল জুমুয়াতি, সুন্নাতি রাসূলিল্লাহি তয়ালা মুতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল্ ক্বাবাতিশ্ শারীফাতি আল্লাহু আক্বার।
বাংলা অর্থ- আমি কেবলামুখী হয়ে আল্লাহ্র ওয়াস্তে চার রাকায়াত বাদাল জুম্মা সুন্নাতে মুয়াক্কাদা নামাজের নিয়ত করলাম। আল্লাহু আকবর।
জুমার ফরজ নামাজের আগে ও পরে সুন্নাত কত রাকাত
জুমার ফরজ নামাজের আগে ও পরে সুন্নাত নামাজের রাকাত সংখ্যা নিম্নরূপ:
- জুমার নামাজের আগে: চার রাকাত সুন্নাত নামাজ। একে কাবলাল জুমা বলা হয়।
- জুমার নামাজের পরে: চার রাকাত সুন্নাত নামাজ। একে বাদাল জুমা বলা হয়।
জুমার নামাজের ফজিলত
- সপ্তাহের সেরা দিন- শুক্রবারকে ইসলামে সেরা দিন হিসেবে গণ্য করা হয়।
- গুনাহ মাফ- জুমার দিন খুতবা শোনা এবং নামাজ আদায়ের ফলে আগের সপ্তাহের গুনাহ মাফ হয়ে যায় (ছোট গুনাহ)।
- দোয়া কবুল-এই দিনে দোয়া কবুলের বিশেষ মুহূর্ত রয়েছে।
- কুরআন ও হাদিসের দৃষ্টিকোণ
- কুরআনে বলা হয়েছে: “হে মুমিনগণ, যখন জুমার দিনের নামাজের জন্য আহ্বান করা হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণের দিকে দ্রুত ধাবিত হও এবং ক্রয়-বিক্রয় পরিত্যাগ করো। এটা তোমাদের জন্য উত্তম, যদি তোমরা জানো।” (সূরা আল-জুমুআহ ৬২:৯)
- হাদিসে বলা হয়েছে: “যে ব্যক্তি জুমার দিন গোসল করে এবং প্রথম ভাগে মসজিদে উপস্থিত হয়, সে যেন একটি উট কোরবানি করল।” (বুখারি)
মন্তব্য
জুমার নামাজ ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ আচার-অনুষ্ঠান, যা মুসলমানদের আধ্যাত্মিক জীবনকে সমৃদ্ধ করে এবং সমাজের মধ্যে ঐক্য ও ভ্রাতৃত্ববোধ জাগ্রত করে।
"জুমার নামাজ, জুমার নামাজ পড়ার নিয়ম" পোস্ট সম্পর্কিত মন্তব্যের জন্য নিচের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করতে পারেন।
ধন্যবাদ
সামরিন ইনফো।
সামরিন ইনফো এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url