১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস রচনা

বাংলাদেশের মানুষের জন্য ১৫ই আগস্ট হলো জাতীয় শোক দিবস হিসেবে পরিচিত। তাদের স্মৃতিতে এই দিনটি অত্যন্ত সম্মানের সহিত পালন করা হয় যারা ১৯৭৫ সালে নিহত হয়েছিলেন এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা প্রাপ্তির জন্য সংগ্রাম করেছিলেন। "১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস রচনা" পোষ্টে জাতীয় শোক দিবস সম্পর্কে আলোচনা করা হল।
১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস রচনা
চলুন যেনে নেওয়া যাক ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস রচনা সম্পর্কে বিস্তারিত।

ভূমিকা

১৫ই আগস্ট জাতীয় শোক দিবস যা বাংলাদেশে পালিত হয় জাতীয় দিবস হিসেবে। প্রতি বছরের ১৫ই আগস্ট জাতীয় ও রাষ্ট্রীয়ভাবে এই দিনটি অত্যন্ত শোকের সহিত পালন করা হয়ে থাকে। এই দিনটি বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি গভীরভাবে গৌরববার্তা ও শ্রদ্ধাঞ্জলির দিন।

এ দিবসে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অর্ধনিমিত ও কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়। স্বাধীনতার স্থপতি শেখ মুজিবুর রহমানকে সহ স্বপরিবারকে হত্যা করা হয়। তাই এই দিনটি সবার মাঝে মনে রাখার জন্য ও স্মরণীয় রাখতে এই দিবসের উৎপত্তি। এই দিনটি বাঙ্গালী জাতির জন্য একটি কালো অধ্যায়।

শোক দিবস

"শোক দিবস" এমন একটি বিশেষ দিন যা কোনো শোকাবহ ঘটনাকে স্মরণ করার জন্য পালন করা হয়। এটি সাধারণত একটি জাতীয় বা আন্তর্জাতিক শোকের দিন হিসেবে পালন করা হয়, যেখানে মানুষ সেই বিশেষ ঘটনার স্মৃতিচারণা করেন এবং শোক প্রকাশ করেন।

জাতীয় শোক দিবস সংখ্যা

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে "শোক দিবস" বলতে সাধারণত দুটি দিনকে বোঝানো হয়:

বাংলাদেশের জাতীয় শোক দিবস (১৫ই আগস্ট)

১৯৭৫ সালের এই দিনে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছিল। এই দিনটি জাতীয় শোক দিবস হিসেবে পালিত হয়।

ভাষা শহীদ দিবস বা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস (২১শে ফেব্রুয়ারি)

১৯৫২ সালে বাংলা ভাষার মর্যাদা রক্ষার জন্য আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছিলেন তাদের স্মরণে এই দিনটি পালন করা হয়। এটি এখন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবেও পালিত হয়।

এই দুটি দিন বাংলাদেশের মানুষের জন্য অত্যন্ত শোকাবহ ও স্মরণীয় দিন হিসেবে পালিত হয়।

শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম পরিচয়

শেখ মুজিবুর রহমান, যিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নামে পরিচিত, বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্থপতি এবং জাতির পিতা। তাঁর জন্ম পরিচয় ও প্রাথমিক জীবনের সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নিচে দেওয়া হলো:

জন্ম ও প্রাথমিক জীবন

  • জন্ম: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৭ মার্চ ১৯২০ সালে গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
  • পরিবার: তাঁর পিতার নাম শেখ লুৎফর রহমান এবং মাতার নাম সায়েরা খাতুন। তিনি ছিলেন তাদের ছয় সন্তানের মধ্যে তৃতীয়।
  • শিক্ষা: শেখ মুজিবুর রহমান গোপালগঞ্জ পাবলিক স্কুল ও মিশন স্কুলে প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করেন। পরে তিনি গোপালগঞ্জ মিশনারি স্কুল থেকে ম্যাট্রিক পাশ করেন। এরপর কলকাতার ইসলামিয়া কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিষয়ে পড়াশোনা করেন।
১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস রচনা_শেখ মুজিব

রাজনৈতিক জীবন

  • রাজনীতিতে প্রবেশ: ছাত্রাবস্থায়ই তিনি রাজনৈতিক কার্যক্রমে জড়িয়ে পড়েন। ১৯৪০-এর দশকে তিনি বঙ্গীয় মুসলিম ছাত্রলীগের সাথে যুক্ত হন এবং সক্রিয় রাজনীতির সঙ্গে নিজেকে সম্পৃক্ত করেন।
  • বাঙালি জাতীয়তাবাদ: ১৯৪৮ সালে ভাষা আন্দোলনে অংশগ্রহণের মাধ্যমে তিনি প্রথমবারের মতো জনসাধারণের দৃষ্টিতে আসেন। তিনি ভাষা আন্দোলনের একজন অগ্রণী নেতা ছিলেন।
  • আওয়ামী লীগ: ১৯৪৯ সালে গঠিত পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগের (বর্তমানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ) প্রতিষ্ঠাতাদের একজন ছিলেন এবং পরবর্তীতে এর সভাপতি হন।

স্বাধীনতা সংগ্রাম

  • ৬ দফা আন্দোলন: ১৯৬৬ সালে বঙ্গবন্ধু ছয় দফা দাবি পেশ করেন যা বাঙালি জাতির স্বাধীনতা আন্দোলনের ভিত্তি রচনা করে।
  • ১৯৭১ এর স্বাধীনতা যুদ্ধ: ২৬ মার্চ ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন এবং এর পরপরই তাকে গ্রেপ্তার করে পাকিস্তানে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে তাঁর নেতৃত্বে বাঙালিরা মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করে।

রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী

স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি এবং পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি দেশের পুনর্গঠনে এবং একটি সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যু কত সালে

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যু বাংলাদেশের ইতিহাসের একটি বেদনাদায়ক ঘটনা। তার মৃত্যু হয় ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট। সেনাবাহিনীর একটি অংশ বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান এবং তার পরিবারের সদস্যদের হত্য করে রাতারাতি ক্ষমতা দখল করে। 
১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস রচনা_বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যু
মূলত স্বাধীনতার পর দেশ পুনর্গঠনের কাজ শুরু হয় তবে স্বাধীনতার পর দেশটি বিভিন্ন রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক সমস্যায় পতিত হয়। এই অবস্থায় কিছু সেনাসদস্যের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয় এবং তারা চক্রান্ত করে শেখ মুজিবুর রহমানকে ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে।

বঙ্গবন্ধু কত বছর বেঁচে ছিলেন

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৭ মার্চ ১৯২০ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন বাংলাদেশের জাতির পিতা এবং স্বাধীনতার মহান নেতা। ১৫ আগস্ট ১৯৭৫ সালে তাঁকে এবং তাঁর পরিবারের বেশিরভাগ সদস্যকে হত্যা করা হয়। তিনি ৫৫ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর অবদান এবং স্মৃতি বাঙালির হৃদয়ে চিরকাল অম্লান থাকবে।

১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস

১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি অত্যন্ত শোকাবহ ও হৃদয়বিদারক দিন। ১৯৭৫ সালের এই দিনে স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের বেশিরভাগ সদস্যকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। এই দিনটি স্মরণে জাতীয় শোক দিবস হিসেবে পালিত হয়। এই দিনে বঙ্গবন্ধুর অবদান এবং তাঁর পরিবারের ত্যাগের স্মৃতিচারণ করা হয়।
১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস রচনা
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট মধ্যরাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের বাসভবনে সামরিক বাহিনীর একটি দল আক্রমণ চালায়। এই আক্রমণে বঙ্গবন্ধু সহ তার স্ত্রী শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব, পুত্র শেখ কামাল, শেখ জামাল, শেখ রাসেল এবং অন্যান্য পরিবারের সদস্যসহ মোট ১৮ জনকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।

বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা তখন জার্মানিতে ছিলেন এবং এই হত্যাকাণ্ড থেকে বেঁচে যান।

এই দিনে জাতির পিতা এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের স্মরণে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। সরকারী ও বেসরকারী ভবনগুলোতে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়। ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে এবং টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। 

বঙ্গবন্ধুর জীবনী ও দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস নিয়ে আলোচনা সভা ও বিশেষ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বিভিন্ন মসজিদ, মন্দির ও অন্যান্য ধর্মীয় স্থানে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। টেলিভিশন ও রেডিও চ্যানেলগুলোতে বঙ্গবন্ধুর জীবনী ও কর্ম নিয়ে বিশেষ অনুষ্ঠান সম্প্রচারিত হয়।

১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস শুধুমাত্র শোকের দিন নয়, এটি জাতির পিতার আদর্শ ও স্বপ্নকে সামনে রেখে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার প্রতিজ্ঞা করার দিন। বঙ্গবন্ধুর অবদান ও ত্যাগের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তার অসমাপ্ত কাজগুলো সম্পন্ন করার অঙ্গীকার করা হয়।

শোক দিবসের প্রথম নিহত ব্যক্তির নাম কি

১৯৭৫ সালে ১৫ই আগস্ট রাতে যে হত্যাকান্ড ঘটে সেই রাতে প্রথম যে ব্যক্তি শহীদ হন সে ছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা কর্মকর্তা (পিএসও) এসআই (সাব-ইন্সপেক্টর) সিদ্দিকুর রহমান। সেই দিন সেনাবাহিনীর বিপথগামী কিছু সদস্য ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সড়কের বঙ্গবন্ধুর বাসভবনে আক্রমণ চালায়। 

সেই সময় বঙ্গবন্ধুর ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ছিলেণ সিদ্দিকুর রহমান। আক্রমণকারী দল বাসভবনের ঢুকার চেষ্ঠা করলে তিনি সাহসিকতার সাথে তাদের প্রতিরোধ করার আপ্রাণ চেষ্ঠা করেন। সেই আক্রমণকারীদের প্রতিরোধ করতে গিয়ে সিদ্দিকুর রহমান প্রথম গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হন। তার সাহস ও আত্নত্যাগ সেদিনের মর্মান্তিক ঘটনার প্রথম শহীদের নাম হিসেবে ইতিহাসে জায়গা করে।

১৫ আগস্ট মোট কতজন শহীদ হন

১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট সেনাবাহিনীর একদল ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সড়কের বঙ্গবন্ধুর নিজ বাসভবনে হামলা চালায়। তারা শেখ মুজিবুর রহমান সই তার পরিবারের বেশির ভাগ সদস্যসহ কিছু নিকট আত্নীয়কে নির্মমভাবে হত্যা করে শহীদ করেন। শহীদের মধ্যে ছিলেন :

১। বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সদস্য

  • জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান।
  • শেখ মুজিবুর রহমানের স্ত্রী বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিব।
  • বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ পুত্র শেখ কামাল।
  • শেখ কামালের স্ত্রী সুলতানা কামাল।
  • বঙ্গবন্ধুর দ্বিতীয় পুত্র শেখ জামাল।
  • শেখ জামালের স্ত্রী রোজী জামাল।
  • বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেল, যার বয়স ছিল মাত্র ১০ বছর।

২। বঙ্গবন্ধুর নিকট আত্নীয়

  • বঙ্গবন্ধুর ছোট ভাই শেখ নাসের।
  • বঙ্গবন্ধুর ভগ্নিপতি এবং কৃষিমন্ত্রী আবদুর রব সেরনিয়াবাত।
  • আবদুর রব সেরনিয়াবাতের পুত্র আরিফ সেরনিয়াবাত।
  • আবদুর রব সেরনিয়াবাতের পুত্র বেবী সেরনিয়াবাত।
  • আবদুর রব সেরনিয়াবাতের আত্নীয় সুকান্ত বাবু।
  • বঙ্গবন্ধুর ভগ্নিপতির ছেলে কাজী হামিদুল্লাহ।

৩। বঙ্গবন্ধুর বাড়ির কর্মচারী

  • করিম
  • স্বপন
  • জলিল
এই সকল শহীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানানোর জন্য ১৫ই আগস্ট সারা বাংলাদেশে জাতীয় শোক দিবস পালিত হয়ে থাকে। তবে এই নরকীয় হত্যাকান্ড থেকে বেঁচে যান বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহানা তারা সেই সময় বিদেশে অবস্থান করছিলেন।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কি ঘটেছিল

বাঙালি জাতির জন্য অনুপ্রেরণার নাম হচ্ছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি একটি ইতিহাস ও আদর্শের নাম, দেশপ্রেমের উজ্জল দৃষ্টান্তের নাম, অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী কন্ঠস্বরের নাম ও লাল সবুজের মানচিত্রের একটি স্বাধীন দেশের উদ্ভাবকের নাম।

সময়টা তখন ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট। বাংলার আকাশে বাতাসে শোকের মাতম। এই দিনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সহ তার স্বপরিবারকে নির্মমভাবে হত্যা করেন। খুব অল্প সময়ের মাঝে বেশ ঠান্ডা মাথায় বঙ্গবন্ধুসহ তার পরিবারের ১৮ জন সদস্যকে বর্বরোচিতভাবে হত্যা করেন। 

১৫ই আগস্ট ভোরে যখন ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে নিজ বাসভবনে স্বপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে বুলেটের তুমুল বৃষ্টিতে ঘাতকরা ঝাঁঝরা করে দিয়েছিল, সেই সময় যে বৃষ্টি ঝরছিল তা যেন ছিল প্রকৃতিরই অসহায় আর্তনাদ। গোটা বাংলার আনাচে কানাচে রক্তাক্ত বাতাসের আহাজারি ছেয়ে গেছে। যুগ থেকে যুগান্তরে জ¦লবে ১৫ই আগস্ট এর শোকের আগুন।
১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস রচনা_১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কি ঘটেছিল
এই জঘন্য হত্যাকান্ডে ঘাতকের হাতে নির্মমভাবে নিহত হয় বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তার সহধর্মিণী শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব, পুত্র শেখ কামাল, শেখ জামাল, শেখ রাসেল, শেখ কামালের স্ত্রী সুলতানা কামাল, শেখ জামালের স্ত্রী রোজী জামাল, বঙ্গবন্ধুর ভাই শেখ নাসের, এসবি অফিসার দিদ্দিকুর রহমান, কর্ণেল জামিল, সেনা সদস্য সৈয়দ মাহবুবুল হক। 

একই সময়ে ঘাতকরা বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে শেখ ফজলুল হক মণির বাসায় হামলা চালিয়ে শেখ ফজলুল হক মণি, তার অন্তঃসত্তা স্ত্রী আরজু মণি, বঙ্গবন্ধুর ভগ্নিপতি আবদুর রব সেরনিয়াতের বাসায় হামলা করে সেরনিয়াবাত ও তার কন্যা বেবী, পুত্র আরিফ সেরনিয়াবাত, নাতি সুকান্ত বাবু, আবদুর রব সেরনিয়াবাতের বড় ভাইয়ের ছেলে সজীব সেরনিয়াবাত এবং এক আত্নীয় বেল্টু খান। বাংলাদেশের ইতিহাসে এ এক কালো অধ্যায়।

শেখ মুজিবুর রহমান হত্যাকাণ্ডের কারা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত ছিল

১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট বাংলাদেশের ইতিহাসের একটি কালো অধ্যায়। এই দিনে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবার আত্নীয়স্বজন সহ নির্মমভাবে হত্যা করেন। এই হত্যার পিছনে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে কিছু ব্যক্তি জড়িত ছিল।

১। পরিকল্পনাকারী 

  • এই হত্যা কান্ডের মূল নেতৃত্বে ছিলেন লেফটেন্যান্ট কর্নেল সৈয়দ ফারুক রহমান।
  • জেনারেল জিয়া উর রহমান এই ঘটনায় প্রত্যক্ষভাবে জড়িত না থাকলেও পরবর্তীতে এই হত্যাকান্ডে অভিযুক্তদের সরকারে উচ্চপদে বসিয়ে ক্ষমতায় আসেন এবং তাদেরকে রক্ষা করেন।
  • লেফটেন্যান্ট কর্নেল সৈয়দ ফারুক রহমানের সাথে লেফটেন্যান্ট কর্নেল খন্দকার আবদুর রশীদ পরিকল্পনা ও কার্যক্রমে সহযোগিতা করেন।

২। প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণকারী 

  • মেজর বজলুল হুদা
  • মেজর মহিউদ্দিন আহমেদ
  • মেজর শরিফুল হক ডালিম
  • লেফটেন্যান্ট কর্নেল রশীদ
  • ক্যাপ্টেন মাজেদ
  • ক্যাপ্টেন নুর চৌধুরী

৩। দেশের বাহিরের সহযোগিতা

  • দেশের বাইরে বসবাসরত এবং অন্যান্য ষড়যন্ত্রকারীদের সহায়তায় এই হত্যাকান্ড পরিচালিত হয়।

শেখ মুজিব হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের বিচার কার্যক্রম

১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট বঙ্গবন্ধু সহ স্বপরিবারকে হত্যা করা হয়। মূলত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার বিচার প্রক্রিয়া ছিল বাংলাদেশের ইতিহাসের এক অতি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। হত্যাকান্ড ঘটার পর দীর্ঘ সময় এর বিচার কার্যক্রম প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হয়েছিল এর মূল কারণ ছিল খুনিদেরকে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ দ্বারা রক্ষা করা হয়েছিল। 

এই অধ্যাদেশটি সামরিক শাসনের অধীনে বঙ্গবন্ধু হত্যাকারীদের বিচারের হাত থেকে রক্ষা করা হয়েছিল। পরবর্তীতে ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বাতিল ঘোষণা করা হয় এবং হত্যাকারীদের বিচার কার্যক্রম শুরু হয়। ১৯৯৭ সালে মামলা দায়ের করা হয় এবং পরবর্তীতে তদন্তের ভিত্তিতে ১৯৯৮ সালে ১৫ জন আসামির বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। 

২০০০ সালে আদালত পাঁচজনকে রায়ের মাধ্যমে মৃত্যুদন্ড প্রদান করেন এবং ছয়জনকে খালাস করে দেন। বিচার প্রক্রিয়ার বিভিন্ন পর্যায়ে আসামিরা উচ্চ আদালতে আপিল করেন। সুপ্রিম কোর্ট ২০০৯ সালে আপিল বিভাগ চূড়ান্ত রায়ে পাঁচজন আসামির মৃত্যুদন্ড বহাল করেন। পরে ২০১০ সালের ২৮ জানুয়ারিতে এই পাঁচজনের মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হয়। 

বর্তমানে অনেক খুনি এখনও বিদেশে পলাতক রয়েছে, পলাতক খুনিদের আইনের আওতায় আনার জন্য এখনও চেষ্ঠা চালিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের বিচার বিভাগের জন্য বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার প্রক্রিয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।

শোক দিবসের আমরা কি কি করে থাকি

বাঙালি জাতির জন্য জাতীয় শোক দিবস ১৫ই আগস্ট একটি বিশেস গুরুত্বপূর্ন দিন। এই দিনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তার পরিবারের বেশিরভাগ সদস্যকে নির্মমভাবে হত্যার স্মরণে এই শোক দিবসটি পালন করা হয়ে থাকে। শোক দিবসটি পালনের জন্য আমরা নানা রকমের কর্মসূচির আয়োজন করে থাকি। নিম্নে আলোচনা করা হলো:
  • জাতীয় পতাকা অর্ধনিমিত রাখা : শোক দিবসে সকল সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, স্কুল, কলেজ এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা অর্ধনিমিত রাখা হয়। এটা মূলত শোক প্রকাশের প্রতীক হিসেবে করা হয়।
  • আলোচনা সভা ও সেমিনার : বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্ম নিয়ে আলোচনা সভা ও সেমিনারের আয়োজন করা হয়। এই আয়োজন গুলো করে থাকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, স্কুল, কলেজ, বিশ^বিদ্যালয় এবং রাজনৈতিক দলগুলো। এই সব সভা ও সেমিনারে বঙ্গবন্ধুর অবদান, রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি এবং দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে তার নেতৃত্বের গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করা হয়।
  • দোয়া মাহফিল : দেশের বিভিন্ন মসজিদ, মন্দির, গির্জা ও প্যাগোডায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধ শেখ মুজিবুর রহমা ও তার পরিবারের জন্য দোয়া মাহফিল সহ বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হয়ে থাকে।
  • বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি জড়িত জাদুঘর পরিদর্শন : বঙ্গবন্ধুর নিজ বাস ভবন ধানমন্ডি ৩২ নম্বর রোডে লেকের পাশে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে মানুষ দেখতে যায় এবং তাকে শ্রদ্ধা নিবেদন করে আসে। তারা তাকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়ে বিশেষ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
  • র‌্যালি ও শোক মিছিল : দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন দলগুলো শোক র‌্যালি ও মিছিল করে থাকে। যারা এই সব শোক র‌্যালিতে অংশ গ্রহণ করে তারা কালো ব্যাজ পরিধান করে বঙ্গবন্ধুর স্মরণে শোক র‌্যালি করে থাকে।
  • সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন : শোক দিবস উপলক্ষ করে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এই সকল অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে গান, কবিতা, নাটক এবং অন্যান্য সাংস্কৃতিক পরিবেশনা অনুষ্ঠিত হয়।
  • গণমাধ্যমে বিশেষ সম্প্রচার : রেডিও, টেলিভিশন ও সংবাদপত্রে বঙ্গবন্ধুর জীবনী ও সৎ কর্ম নিয়ে বিশেষ অনুষ্ঠান প্রকাশিত হয়। অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা সংগ্রাম, রাজনৈতিক নেতৃত্ব ও ব্যক্তিগত জীবনের ওপর আলোকপাত করা হয়।

১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস বক্তব্য

১৯৭৫ সালে ১৫ই আগস্ট ভোরের আলো ফোটার আগেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে হত্যা করেছিল পাকিস্তানের প্রেতাত্মা, ক্ষমতালোভী কিছু নরপিশাচ কুচক্রী মহল। এর সাথে সাথে মানচিত্রে চাপিয়ে দিয়েছে ইতিহাসের সবচেয়ে ভারী বোঝা। নিম্নে জাতীয় শোক দিবসের বক্তব্য দেওয়া হলো :

জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান হারোনোর শোকে কেঁদেছিল আকাশ, ফুপিয়ে ছিল বাতাস। সেই দিন প্রকৃতি কেঁদেছিল কারণ মানুষ সেই দিন কাঁদতে পারেনি। ঘাতকের উদ্যাত রক্তচক্ষু তাদেরকে কাঁদতে দেয়নি। বাংলার প্রতিটি ঘর থেকে এসেছিল চাপা দীর্ঘশ্বাস। সেই রাতটি ছিল কি ভয়াল, কি ভয়ঙ্কর সেই রাত। আজ ১৫ই আগস্ট জাতীয় শোক দিবস যা রক্তঝরা, অশ্রুভেজা দিন বাঙালি জাতির শোকের দিন।

আমার প্রিয় সকল সুধিবৃন্দ সবাইকে আসসালামু আলাইকুম,

আমার বক্তব্য শুরু করার আগেই আমি ধন্যবাদ জানাই উক্ত অনুষ্ঠানের আয়োজন কে। এর সাথে সাথে আরো ধন্যবাদ জানাই উপস্থিত সভাপতিসহ সবাইকে। আমাকে এই বিশেষ শোকের দিনে আপনাদের সামনে বক্তব্য দেয়ার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য আবারো ধন্যবাদ জানাতে চাই।
১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস রচনা_১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস বক্তব্য
পাকিস্তানের প্রেতাত্মা, ক্ষমতালোভী, নরপিশাচ কুচক্রী মহল ১৯৭৫ সালে ১৫ই এই দিনে ভোরের আলো ফোটার আগেই স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে হত্যা করেছিল। যা বাংলাদেশের স্বাধীন মানচিত্রের কাঁধে চাপিয়ে দেয় ইতিহাসের সবচেয়ে ভারী বোঝা। 

১৫ই আগস্ট সেই কাল রাতে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী সাম্রাজ্যবাদী শক্তির এদেশীয় চরম বিশ্বাসঘাতকতা কাছে জাতির জনকের বিশ্বাস ভেঙ্গে পড়েছিল। ঢাকার ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সড়কের সেই ঐতিহাসিক বাড়ি বঙ্গবন্ধু ও তার স্বপরিবারের রক্তে সেদিন প্লাবিত হয়। সেই সাথে অস্তমিত হয়েছিল জাতীয় গৌরব এর প্রতীক সূর্যের মতো অনন্য এক অধ্যায়। 

সেই দিনে সুবে সাদিকের সময় পবিত্র আযানের ধ্বনি কে বিদীর্ণ করে ঘাতকের মেশিনগানের গুলির আওয়াজ। মূলত সেইদিন ঘাতকের গুলিতে শুধু বঙ্গবন্ধকেই হত্যা করেনি তাদের হাতে প্রাণ হারিয়েছিল বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, বঙ্গবন্ধুর সন্তান শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শিশু শেখ রাসেলসহ পুত্রবধু সুলতানা কামাল ও রোজী জামাল।

সেই সময় দেশের বাইরে ছিলেন বঙ্গবন্ধুর কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার ছোট বোন শেখ রেহানা। জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান হত্যার সকল প্রকার দুরভিসন্ধির সঙ্গে জড়িত আন্তর্জাতিক সাম্রাজ্যবাদী ও পাকিস্তানের চক্র এবং তাদের এদেশীয় দালালদের গোপন সম্পর্কের কথা আজ দেশের মানুষের কাছে পরিষ্কার হয়ে গেছে। 

বাঙালি জাতিকে একেবারে নিশ্চিহ্ন করে বাংলাদেশের নাম পৃথিবীর মানচিত্র থেকে মুছে ফেলাই এর মূল উদ্দেশ্য ছিল। তারা বুঝতে পেরেছিল বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে বাঙালি জাতিকে শেষ করে দেয়া যাবে। কিন্তু তাদের সেই বিশ্বাস ঘাতকতা, উচ্চ বিলাসী ধ্যান ধারণা বাস্তবে রূপ লাভ করতে পারেনি।

যেমন সূর্য অস্তমিত হলে তারপর জোনাকিরা জ্বলে ওঠে, কিন্তু কখনোই জোনাকিরা সূর্যের বিকল্প হতে পারেনা। যতই দিন অতিবাহিত হচ্ছে ততই সত্য স্পষ্ট থেকে স্পষ্টতর হচেছ। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর তার চেতনা অবিনশ্বর। প্রজন্ম থেকে প্রজন্মের কাছে শেখ মুজিবুর রহমানের অবিনাশিত চেতনা ও আদর্শ চিরদিন প্রবাহমান থাকবে। 

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিলো ক্ষুধা ও দারিদ্র মুক্ত বৈষম্যহীন সমাজ গড়ে তোলা। তবে তার সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা তার পিতার সেই স্বপ্ন পূরণের জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে। যার ফল স্বরূপ সারা বিশ্বে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রত্যেক বছরের মতো আজও যথাযথ মর্যাদা ও ভাব গম্ভীর্যে জাতির শোক দিবস ও বঙ্গবন্ধুর শাহাদাত বার্ষিকি পালিত হচ্ছে।

তার স্বপ্নের গণতান্ত্রিক সমাজ ভিত্তিক পরিপূর্ণ বাংলাদেশ গড়াই আজকের এই জাতীয় শোক দিবসের অঙ্গীকার।

সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে আমি আমার বক্তব্য শেষ করছি।

উপসংহার

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন এবং কর্ম বাংলাদেশের ইতিহাসের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। তাঁর নেতৃত্ব, ত্যাগ, এবং অদম্য সাহসের ফলে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করে। জন্ম থেকে শুরু করে তাঁর রাজনৈতিক জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপে তিনি বাঙালি জাতির স্বাধীনতার স্বপ্নকে সামনে রেখে কাজ করেছেন। 

তাঁর ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা ঘোষণা এবং পরবর্তীতে একটি নতুন জাতির পিতা হিসেবে বাংলাদেশের নেতৃত্ব প্রদান তাঁর জীবনের অন্যতম গৌরবময় অধ্যায়। ১৫ আগস্ট ১৯৭৫ সালে তাঁর নির্মম হত্যাকাণ্ড জাতিকে গভীর শোকে নিমজ্জিত করে, কিন্তু তাঁর আদর্শ ও স্বপ্ন আজও কোটি মানুষের হৃদয়ে অম্লান। 

বঙ্গবন্ধুর জীবনের শিক্ষাগুলো আমাদেরকে একটি উন্নত, স্বাধীন, এবং শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ গঠনে প্রেরণা যোগায়।

"১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস রচনা" পোস্ট সম্পর্কিত মন্তব্যের জন্য নিচের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করতে পারেন।

ধন্যবাদ
সামরিন ইনফো।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সামরিন ইনফো এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url