বাইনান্স (Binance) পেমেন্ট সেটআপ: বিকাশ, নগদ ও ব্যাংক অ্যাকাউন্ট যোগ করার সহজ উপায়
বাইনান্স (Binance) পেমেন্ট সেটআপ করা এখন খুব সহজ এবং আপনি কয়েকটি সহজ ধাপের মাধ্যমেই বিকাশ, নগদ ও ব্যাংক অ্যাকাউন্ট যুক্ত করতে পারেন। এই প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে আপনাকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করতে হবে, যা এই পোস্টে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে। এখানে আলোচনা করা হয়েছে কিভাবে বাইনান্স অ্যাকাউন্টে বিকাশ, নগদ ও ব্যাংক অ্যাকাউন্ট যুক্ত করা যায়।
চলুন জেনে নেওয়া যাক "বাইনান্স (Binance) পেমেন্ট সেটআপ: বিকাশ, নগদ ও ব্যাংক অ্যাকাউন্ট যোগ করার সহজ উপায়" সম্পর্কে বিস্তারিত, যেন আপনি দ্রুত ও নিরাপদে ট্রানজেকশন করতে পারেন। এই পোস্টে প্রতিটি ধাপ সহজভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে, যাতে আপনার পেমেন্ট পদ্ধতি সেটআপ করতে কোনো ঝামেলা না হয়।
ভূমিকা
বাইনান্স (Binance) একটি বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় ক্রিপ্টোকারেন্সি ট্রেডিং প্ল্যাটফর্ম, যেখানে ব্যবহারকারীরা সহজেই ডিজিটাল মুদ্রা লেনদেন করতে পারেন। বাংলাদেশে ক্রিপ্টোকারেন্সি ক্রয়-বিক্রয় ও ট্রান্সফারের ক্ষেত্রে বিকাশ, নগদ এবং ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে পেমেন্ট সেটআপ করা এখন অত্যন্ত সহজ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
অনেক ব্যবহারকারীই কিভাবে এই পেমেন্ট পদ্ধতিগুলো বাইনান্স অ্যাকাউন্টে যুক্ত করবেন তা জানেন না। এই পোস্টে আমরা সহজ ধাপে ধাপে গাইড প্রদান করব, যাতে আপনি বিকাশ, নগদ ও ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে আপনার বাইনান্স অ্যাকাউন্টে লেনদেন শুরু করতে পারেন।
১. বাইনান্স (Binance)
বাইনান্স (Binance) হলো বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম ক্রিপ্টোকারেন্সি ট্রেডিং প্ল্যাটফর্ম, যেখানে ব্যবহারকারীরা সহজেই বিভিন্ন ডিজিটাল মুদ্রা কেনাবেচা এবং লেনদেন করতে পারেন। ২০১৭ সালে প্রতিষ্ঠিত এই প্ল্যাটফর্মটি ক্রিপ্টোকারেন্সি বিনিয়োগকারীদের জন্য বিভিন্ন সুবিধা এবং সেবা প্রদান করে। এর মধ্যে রয়েছে স্পট ট্রেডিং, ফিউচার ট্রেডিং, মার্জিন ট্রেডিং এবং P2P লেনদেন।
বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে ক্রিপ্টোকারেন্সি কেনাবেচার জন্য বাইনান্স (Binance) ব্যবহার করা হয় এবং এটি ব্যবহার করা অত্যন্ত সহজ ও সাশ্রয়ী। বাইনান্স (Binance) ব্যবহারকারীদের জন্য বিকাশ, নগদ এবং ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মতো স্থানীয় পেমেন্ট পদ্ধতি যুক্ত করার সুবিধাও রয়েছে, যা ক্রিপ্টো লেনদেনকে আরও সহজ করে তোলে।
বিশেষত, বাংলাদেশী ব্যবহারকারীরা সহজেই বিকাশ বা নগদ ব্যবহার করে লেনদেন করতে পারেন, যা তাদের স্থানীয় পেমেন্ট গেটওয়ের মাধ্যমে দ্রুত এবং নিরাপদভাবে সম্পন্ন করার সুযোগ দেয়। Binance-এর মাধ্যমে আপনি বিশ্বব্যাপী যেকোনো সময় ক্রিপ্টোকারেন্সি কেনাবেচা করতে পারবেন, যা এটিকে একটি আদর্শ প্ল্যাটফর্মে পরিণত করেছে।
২. বাইনান্স (Binance) কিভাবে কাজ করে?
বাইনান্স (Binance) একটি অনলাইন ক্রিপ্টোকারেন্সি ট্রেডিং প্ল্যাটফর্ম, যেখানে ব্যবহারকারীরা বিভিন্ন ডিজিটাল মুদ্রা কিনতে, বিক্রি করতে এবং বিনিময় করতে পারেন। এটি মূলত একটি এক্সচেঞ্জ প্ল্যাটফর্ম, যা ক্রিপ্টোকারেন্সি ট্রেডিংয়ের ক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীদের বিভিন্ন টুল এবং সুবিধা প্রদান করে। বাইনান্স কাজ করে বিভিন্ন ধাপ এবং প্রক্রিয়ার মাধ্যমে, যা নিম্নে আলোচনা করা হলো:
২.১. একাউন্ট খোলা ও যাচাইকরণ
বাইনান্স ব্যবহারের জন্য প্রথমে ব্যবহারকারীকে একটি একাউন্ট খুলতে হয়। একাউন্ট খোলার সময় ইমেইল বা ফোন নম্বরের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করতে হয়। এরপর ব্যবহারকারীকে KYC (Know Your Customer) প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তার পরিচয় যাচাই করতে হয়।
যাচাইকরণের জন্য সাধারণত পাসপোর্ট, জাতীয় পরিচয়পত্র বা ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রয়োজন হয়। এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে ব্যবহারকারী পূর্ণভাবে বাইনান্সের সেবা ব্যবহার করতে পারেন।
২.২. ফান্ড জমা ও ক্রিপ্টোকারেন্সি কেনা
একাউন্ট ভেরিফিকেশন শেষে ব্যবহারকারী তার পছন্দের পেমেন্ট মেথড ব্যবহার করে ফান্ড জমা করতে পারেন। বাংলাদেশে বাইনান্সে ফান্ড জমা দেওয়ার জন্য বিকাশ, নগদ বা ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে অর্থ জমা করা সম্ভব।
ফান্ড জমা হলে, ব্যবহারকারী স্পট মার্কেট বা P2P (পিয়ার টু পিয়ার) মাধ্যমে বিভিন্ন ক্রিপ্টোকারেন্সি, যেমন বিটকয়েন, ইথেরিয়াম, বা অন্যান্য টোকেন কিনতে পারেন। P2P ট্রেডিংয়ে আপনি স্থানীয় পেমেন্ট পদ্ধতি ব্যবহার করে সরাসরি ক্রিপ্টোকারেন্সি কিনতে বা বিক্রি করতে পারেন।
২.৩. ট্রেডিং ফিচারস ও ট্রানজেকশন প্রসেস
বাইনান্স (Binance) এ বিভিন্ন ধরনের ট্রেডিং ফিচার রয়েছে, যেমন স্পট ট্রেডিং, ফিউচার ট্রেডিং এবং মার্জিন ট্রেডিং। স্পট ট্রেডিং হল একটি সরাসরি ট্রেডিং পদ্ধতি, যেখানে নির্দিষ্ট দামের বিনিময়ে ক্রিপ্টোকারেন্সি কেনাবেচা করা হয়। ফিউচার ট্রেডিংয়ের মাধ্যমে আপনি ভবিষ্যতে নির্দিষ্ট মূল্যে ক্রিপ্টো কিনতে বা বিক্রি করতে পারেন, আর মার্জিন ট্রেডিং আপনাকে ঋণ নিয়ে বড় লেনদেনের সুযোগ দেয়।
২.৪. উত্তোলন এবং নিরাপত্তা
ট্রেডিং সম্পন্ন করার পর, ব্যবহারকারী তার ক্রিপ্টোকারেন্সি বা আয়কৃত অর্থ উত্তোলন করতে পারেন। বাংলাদেশী ব্যবহারকারীদের জন্য বিকাশ, নগদ, বা ব্যাংক ট্রান্সফার ব্যবহার করে উত্তোলন করা সম্ভব। এছাড়াও, বাইনান্সে উচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে, যেমন দুই স্তরের অথেন্টিকেশন (2FA), কোল্ড ওয়ালেট ব্যবহার ইত্যাদি, যা ব্যবহারকারীর অ্যাকাউন্ট সুরক্ষিত রাখতে সহায়ক।
বাইনান্স (Binance) তার ব্যবহারকারীদের সহজ এবং সুরক্ষিত ক্রিপ্টোকারেন্সি লেনদেনের সুযোগ দেয়, যেখানে বৈশ্বিক এবং স্থানীয় পেমেন্ট মেথডের সমন্বয় রয়েছে, যা বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের ক্রিপ্টো ট্রেডারদের জন্য উপযোগী।
৩. বাইনান্স P2P (Peer-to-Peer) লেনদেন
বাইনান্স (Binance) P2P (Peer-to-Peer) লেনদেন হলো একটি প্ল্যাটফর্ম যেখানে ব্যবহারকারীরা সরাসরি একে অপরের সাথে ক্রিপ্টোকারেন্সি কেনাবেচা করতে পারেন, কোনো মধ্যস্থতাকারী বা তৃতীয় পক্ষের প্রয়োজন ছাড়াই।
সাধারণত, ট্রেডিং প্ল্যাটফর্মগুলো ব্যবহারকারীদের এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে ট্রেড করতে বাধ্য করে, কিন্তু P2P প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে একজন ব্যবহারকারী তার নিজস্ব পছন্দমতো মূল্যে এবং পেমেন্ট পদ্ধতিতে সরাসরি অন্য ব্যবহারকারীর সাথে ক্রিপ্টোকারেন্সি লেনদেন করতে পারেন।
৩.১. P2P লেনদেন কিভাবে কাজ করে?
৩.১.১. বিজ্ঞাপন তৈরি করা
P2P প্ল্যাটফর্মে ক্রেতা বা বিক্রেতারা তাদের ক্রিপ্টোকারেন্সি কেনা বা বিক্রির বিজ্ঞাপন তৈরি করতে পারেন। এতে তারা লেনদেনের পরিমাণ, পছন্দের পেমেন্ট পদ্ধতি (যেমন বিকাশ, নগদ, বা ব্যাংক অ্যাকাউন্ট), এবং দাম উল্লেখ করেন।
৩.১.২. লেনদেন শুরু করা
যেকোনো ক্রেতা বা বিক্রেতা এই বিজ্ঞাপন দেখে তার সাথে লেনদেন করতে পারেন। যখন দুই পক্ষ একটি বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে সম্মত হয়, তখন লেনদেন শুরু হয়। বাইনান্স (Binance) এর P2P প্ল্যাটফর্মে সাধারণত বিকাশ, নগদ, ব্যাংক ট্রান্সফারসহ বিভিন্ন স্থানীয় পেমেন্ট পদ্ধতি ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে।
৩.১.৩. বাইনান্স (Binance) এর এসক্রো সিস্টেম
P2P লেনদেনের সময় বাইনান্স (Binance) একটি এসক্রো সিস্টেম ব্যবহার করে, যার মাধ্যমে ক্রিপ্টোকারেন্সি সাময়িকভাবে আটকে রাখা হয়। যখন ক্রেতা পেমেন্ট নিশ্চিত করেন এবং বিক্রেতা তা যাচাই করেন, তখন বাইনান্স (Binance) ক্রিপ্টোকারেন্সি ক্রেতার অ্যাকাউন্টে ছেড়ে দেয়।
এসক্রো সিস্টেম ব্যবহার করে প্রতারণার ঝুঁকি কমানো হয়, কারণ কোনো পক্ষই পেমেন্ট নিশ্চিত হওয়ার আগে লেনদেন সম্পন্ন করতে পারে না।
৩.১.৪. লেনদেনের নিরাপত্তা ও রেটিং সিস্টেম
Binance P2P লেনদেনের নিরাপত্তা বজায় রাখার জন্য রেটিং এবং ফিডব্যাক সিস্টেম ব্যবহার করে। ক্রেতা ও বিক্রেতারা লেনদেন শেষে একে অপরকে রেটিং দিতে পারেন, যা ভবিষ্যৎ লেনদেনে বিশ্বাসযোগ্যতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
৩.২. P2P লেনদেনের সুবিধা
- স্থানীয় পেমেন্ট পদ্ধতি ব্যবহার করে সহজে লেনদেন করা যায়, যেমন বিকাশ, নগদ, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট।
- কম খরচে এবং দ্রুত লেনদেন সম্পন্ন হয়, কারণ সরাসরি দুজন ব্যবহারকারীর মধ্যে লেনদেন হয়।
- মার্কেট মূল্যে ক্রিপ্টোকারেন্সি কেনাবেচার সুযোগ থাকায় আপনি নিজের পছন্দমতো দর ঠিক করতে পারেন।
৪. বাইনান্স (Binance) পেমেন্ট সেটআপ: বিকাশ অ্যাকাউন্ট যোগ করার সহজ উপায়
বাইনান্স (Binance) হলো একটি জনপ্রিয় ক্রিপ্টোকারেন্সি এক্সচেঞ্জ, যা বাংলাদেশের ব্যবহারকারীদের জন্য সুবিধাজনক পেমেন্ট পদ্ধতি হিসেবে বিকাশের সুবিধা প্রদান করে। বিকাশের মাধ্যমে পেমেন্ট করার ফলে ব্যবহারকারীরা স্থানীয় মুদ্রায় সহজে ক্রিপ্টোকারেন্সি কেনা এবং বিক্রি করতে পারেন।
নিচে বাইনান্স (Binance) এর মাধ্যমে বিকাশ অ্যাকাউন্ট যোগ করার পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হল-
- প্রথমেই মোবাইলের বাইনান্স (Binance) ওপেন করে উপরের বামদিকে বাইনান্স (Binance) লোগোর উপর ক্লিক করতে হবে।
- এরপর উপরের ডান দিকে সেটিংস অপশনে ক্লিক করতে হবে।
- এরপর নিচের দিকে Payment Method অপশনে ক্লিক করতে হবে।
- এরপর P2P Payment Method(s) এ ক্লিক করতে হবে।
- এরপর Add a payment method অপশনে ক্লিক করতে হবে।
- এরপর Bkash অপশনটি সিলেক্ট করে All Payment Methods এ ক্লিক করতে হবে।
- এরপর Bkash Wallet Number এ আপনার বিকাশ নাম্বার দিতে হবে। এরপর Remarks এ Personal লিখতে হবে। এরপর Confirm অপশন এ ক্লিক করতে হবে।
- এরপর Enable SMS Authentication এ Enable অপশনে ক্লিক করতে হবে।
- এরপর Add Phone Number এ ক্লিক করতে হবে।
- এরপর পুনরায় বিকাশ নাম্বারটি দিতে হবে। এরপর Get Code অপশনে ক্লিক করলে আপনার মেইল এ বা মোবাইলে একটি Verification Code আসবে। কোডটি দিতে হবে এবং Submit এ ক্লিক করতে হবে।
- এরপর Continue অপশনে ক্লিক করতে হবে।
- এরপর Passkeys অপশন সিলেক্ট থাকা অবস্থায় Enable অপশন এ ক্লিক করতে হবে।
- এরপর Passkeys ভ্যারিফিকেশন চাইবে। Passkeys ভ্যারিফিকেশন মানে হচ্ছে একটি নিরাপদ এবং সহজলভ্য প্রমাণীকরণ (authentication) পদ্ধতি যা ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তা বৃদ্ধি করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। এটি সাধারণত পাসওয়ার্ডের বিকল্প হিসেবে কাজ করে এবং ব্যবহারকারীর ডিভাইস বা বায়োমেট্রিক ডেটা (যেমন, ফিঙ্গারপ্রিন্ট বা ফেস আইডি) ব্যবহার করে লগইন করতে দেয়।
- Passkeys প্রযুক্তি ফিশিং প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে, কারণ এটি ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্য বা পাসওয়ার্ডের পরিবর্তে নির্দিষ্ট একটি ডিভাইসের সাথে যুক্ত থাকে।
- এখন Add Passkeys এ ক্লিক করতে হবে।
- পুনরায় Passkey ওপশনে ক্লিক করতে হবে।
- এরপর আপনার যে মেইল দিয়ে বাইনান্স (Binance) সেই মেইলটি আছে কিনা চেক করে Continue অপশনে ক্লিক করতে হবে।
- এরপর ফিংগার প্রিন্ট দিতে হবে।
- আপনি দেখতে পাবেন যে আপনার বিকাশ একাউন্টটি এ্যাড হয়ে গেছে।
৫. বাইনান্স (Binance) পেমেন্ট সেটআপ: নগদ অ্যাকাউন্ট যোগ করার সহজ উপায়
বাইনান্স (Binance) বাংলাদেশে নগদ অ্যাকাউন্ট যোগ করারও সুবিধা প্রদান করে। নগদ অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে পেমেন্ট সেটআপ করা হলে ব্যবহারকারীরা সহজেই তাদের স্থানীয় মুদ্রায় ক্রিপ্টোকারেন্সি কেনা এবং বিক্রি করতে পারেন।
নিচে বাইনান্স (Binance) এর মাধ্যমে নগদ অ্যাকাউন্ট যোগ করার পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হল-
- প্রথমেই মোবাইলের বাইনান্স (Binance) ওপেন করে উপরের বামদিকে বাইনান্স (Binance) লোগোর উপর ক্লিক করতে হবে।
- এরপর উপরের ডান দিকে সেটিংস অপশনে ক্লিক করতে হবে।
- এরপর নিচের দিকে Payment Method অপশনে ক্লিক করতে হবে।
- এরপর P2P Payment Method(s) এ ক্লিক করতে হবে।
- এরপর Add a Payment Method অপশন এ ক্লিক করতে হবে।
- এরপর নগদ অপশনে ক্লিক করতে হবে।
- এরপর Nagad Wallet Number এ আপনার নগদ নাম্বার দিতে হবে। এরপর Remarks এ Personal লিখতে হবে। এরপর Confirm অপশন এ ক্লিক করতে হবে।
- এরপর Passkeys ভ্যারিফিকেশন চাইবে।
- এখন Add Passkeys এ ক্লিক করতে হবে।
- পুনরায় Passkey ওপশনে ক্লিক করতে হবে।
- এরপর আপনার যে মেইল দিয়ে বাইনান্স (Binance) সেই মেইলটি আছে কিনা চেক করে Continue অপশনে ক্লিক করতে হবে।
- এরপর ফিংগার প্রিন্ট দিতে হবে।
- আপনি দেখতে পাবেন যে আপনার নগদ একাউন্টটি এ্যাড হয়ে গেছে।
৬. বাইনান্স (Binance) পেমেন্ট সেটআপ: ব্যাংক অ্যাকাউন্ট যোগ করার সহজ উপায়
বাইনান্স (Binance) এ ব্যাংক অ্যাকাউন্ট যুক্ত করার মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা দ্রুত ও সুরক্ষিতভাবে ফান্ড জমা ও উত্তোলন করতে পারেন, যা তাদের ট্রেডিং অভিজ্ঞতাকে আরও উন্নত করে।
নিচে বাইনান্স (Binance) এর মাধ্যমে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট যোগ করার পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হল-
- প্রথমেই মোবাইলের বাইনান্স (Binance) ওপেন করে উপরের বামদিকে বাইনান্স (Binance) লোগোর উপর ক্লিক করতে হবে।
- এরপর উপরের ডান দিকে সেটিংস অপশনে ক্লিক করতে হবে।
- এরপর নিচের দিকে Payment Method অপশনে ক্লিক করতে হবে।
- এরপর P2P Payment Method(s) এ ক্লিক করতে হবে।
- এরপর All payment method অপশনে ক্লিক করতে হবে।
- এরপর সার্চ অপশনে Bank Transfer লিখে সার্চ দিতে হবে এবং Bank Transfer অপশনটি সিলেক্ট করতে হবে।
- এখানে দেখা যাবে যে, যে নাম দিয়ে বাইনান্স (Binance) অ্যাকউন্ট খোলা হয়েছে সেই নামটি অটোমেটিক ভাবে উঠে গেছে। তাই আপনার ব্যাংক এ্যাকাউন্ট এই নামে থাকতে হবে।
- এরপর ব্যাংক কার্ড নাম্বার বা ব্যাংক এ্যাকাউন্ট নাম্বার দিতে হবে।
- এরপর ব্যাংক এর নাম দিতে হবে এবং সেই সাথে ব্রাঞ্চ নাম্বারও দিতে হবে।
- সবকিছু দেওয়া হয়ে গেলে Confirm বাটনে ক্লিক করলেই ব্যাংক এ্যাকাউন্ট যোগ হয়ে যাবে।
সমাপ্তি
বাইনান্স (Binance) পেমেন্ট সেটআপ সহজ ও সাশ্রয়ী পদ্ধতির মাধ্যমে বাংলাদেশী ব্যবহারকারীদের জন্য ক্রিপ্টোকারেন্সি লেনদেন আরও সহজ করে তুলেছে। বিকাশ, নগদ, এবং ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে পেমেন্ট ব্যবস্থা যুক্ত করার ফলে ব্যবহারকারীরা স্থানীয় মুদ্রায় নিরাপদে লেনদেন করতে পারছেন।
Binance-এর এসক্রো সিস্টেম, P2P লেনদেন এবং নিরাপত্তার জন্য উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারকারীদের নির্ভরযোগ্য অভিজ্ঞতা প্রদান করে। ক্রিপ্টো ট্রেডিংয়ে অংশ নিতে চাইলে এই পেমেন্ট সেটআপ আপনাকে একটি সহজ ও নিরাপদ উপায়ে আপনার যাত্রা শুরু করতে সাহায্য করবে।
আপনারা "বাইনান্স (Binance) পেমেন্ট সেটআপ: বিকাশ, নগদ ও ব্যাংক অ্যাকাউন্ট যোগ করার সহজ উপায়" পোস্ট সম্পর্কিত মন্তব্যের জন্য নিচের কমেন্ট বক্সে আপনার মতামত জানাতে ভুলবেন না! ক্রিপ্টোকারেন্সি লেনদেনে আপনার অভিজ্ঞতা বা অন্য কোনো প্রশ্ন থাকলে, তা শেয়ার করতে পারেন। আপনাদের মূল্যবান মন্তব্য আমাদের উন্নত কন্টেন্ট তৈরি করতে সাহায্য করবে!
ধন্যবাদ
সামরিন ইনফো।
সামরিন ইনফো এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url